বল টেম্পারিংয়ের ঘটনায় আগেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্টিভেন স্মিথ। সবকিছুর দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। হয়েছেন অনুতপ্ত। কিন্তু আইসিসি ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের শাস্তির হাত থেকে রেহাই পাননি। আইসিসি তাকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ম্যাচ ফি এর শতভাগ জরিমানা করে। কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এক হাত নেয়। তারা এক বছরের জন্য স্মিথ ও ওয়ার্নারকে নিষিদ্ধ করে। ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে করে ৯ মাসের জন্য নিষিদ্ধ।
আজ বৃহস্পতিবার তারা দেশে ফিরেছেন। সিডনি বিমানবন্দরে নেমে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্মিথ। পাশাপাশি কৃতকর্মের জন্য দায় স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। নিজের নেতৃত্বের ব্যর্থতার দায় নেন। সবার ক্ষমা পাওয়ার আশা করেন।
স্মিথ বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক হিসেবে আমি পুরো দায়ভার নিচ্ছি। আসলে আমি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মারাত্মক ভুল করেছি। এটা আসলে নেতৃত্বের ব্যর্থতা ছিল। ব্যর্থতা ছিল আমার অধিনায়কত্বের। আমি যে ভুল করেছি সেটার মাশুল দিতে ও যে ক্ষতি করেছি সেটা সারিয়ে তুলতে সর্বাত্মক চেষ্টা করব। এই ঘটনায় যদি কোনো ভালো জিনিস হয়ে থাকে সেটা হল এটা অন্যের জন্য শিক্ষা হয়ে থাকবে। এই ঘটনায় আমি সারাজীবন অনুতপ্ত হব। আমি সত্যিই ব্যথিত ও অনুতপ্ত।’
এরপর কান্নায় গলা ধরে আসে স্মিথের। তার বাবা পিটার এসে তার কাঁধে হাত রাখেন। বাবার হাতের স্পর্শ পেয়ে স্মিথ আবার স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করেন এবং বলতে শুরু করেন, ‘আমি দুটো কিংবা তিনটা কথা বলব। প্রথমত আমি খুবই দুঃখিত। আমি ক্রিকেট ভালোবাসি। আমি বাচ্চাদের আনন্দ দিতে ভালোবাসি। আমি সেইসব বাচ্চাদের ভালোবাসি যারা আমার মতো ক্রিকেটকে ভালোবাসে। আর একটা বিষয় হল আপনি যখন কোনো বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন তখন আপনি একবার ভেবে দেখবেন যে আপনি কাদের উপর প্রভাব ফেলতে যাচ্ছেন। মূলত আপনি আপনার বাবা-মার উপর প্রভাব ফেলতে যাচ্ছেন। পরিবারকে হেয় করছেন। আমার বৃদ্ধ বাবার মলিন মুখটা দেখে খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি যে ব্যাথা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছি সেটার জন্য আমি দুঃখিত। এটা সত্যিই ভয়ঙ্কর। আমি সত্যিই দুঃখিত।’
কান্নার কারণে কথার মাঝে ছেদ পড়ছিল। আবার স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করে স্মিথ বলেন, ‘আশা করছি যথাসময়ে আমি আমার সম্মান ফিরে পাব। আপনাদের ক্ষমা পাব। আমি আমার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। সম্মানিতবোধ করছি অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক হতে পেরে। বিশ্বে ক্রিকেট খুবই জনপ্রিয় একটি খেলা। এটা আমার জীবন। আশা করছি আবার ক্রিকেটে ফিরতে পারব। আমি দুঃখিত এবং বিধ্বস্ত।’