এইচ এম আলমগীর কবির, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: আব্দুল করিমের দখলে একটি বিরোধপূর্ণ জমির দখল নিতে পারছিলেন না আব্দুল আজিজ। নিজের বোনকে নিয়ে ভগ্নিপতি মো. আতাইয়ের সাথেও চলে আসছিল বিরোধ। এসব বিষয় নিয়ে মামাতো ভাই আলী আকবরের সাথে শলাপরামর্শ করতে যান আজিজ। আলী আকবর আতাইয়ের দুই ভাই (মোজাই ও হাছেন) খুনের মামলার অন্যতম আসামী।
জোড়া খুনের ওই মামলা নিয়ে বাদী আতাই ও আসামী আলী আকবরের বিরোধ চলে আসছিল। ফলে উভয়ের শত্রু মিলে যায়। শত্রুদের ফাঁসাতে দরকার হয় একটি লাশের। পরিবারের কাউকে খুন করে তাদের মামলায় ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করেন দুজন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভাড়াটিয়া খুনীদের দিয়ে নিজের ভাতিজি প্রতিবন্ধী রোকসানা খাতুনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
গতকাল সোমবার বিকালে দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবন্ধী তরুণী রোকসানা হত্যা রহস্যর উদঘাটনের পর তার বর্ণনা দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিকেশন (পিবিআই) সিরাজগঞ্জের ইনচার্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দিঘরিয়া দিয়ারপাড়া গ্রামের মৃত তয়জাল ফকিরের শারিরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে রোকসানা খাতুনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে দূর্বত্তরা। এ ঘটনার পরদিন ১৫ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাই রেজাউল করিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ১৭ সেপ্টেম্বর নিজ উদ্যোগে মামলাটির তদন্তভার নেয় পিবিআই। গত শনিবার ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে নিহতের চাচা আব্দুল আজিজকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল আজিজ নিজে ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেন এবং মামাতো ভাই আলী আকবর মূল পরিকল্পনাকারী বলেও জানান। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে রোববার রাতে আলী আকবরকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে উভয়েই নিজেদের পরিকল্পনায় ৩/৪ জন ভাড়াটিয়া খুনী দিয়ে এ হত্যাকান্ডটি ঘটানো হয়েছে বলে স্বীকার করেন। খুনের সময় তারা নিজেরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে স্বঅকার করেন।