জার্মান-বাংলা ডেস্ক: বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল বলেছেন, সরকারের সকল পদক্ষেপে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। এটা শুধু আমাকে নয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য সকল সদস্যকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। অবৈধ সম্পদ ও অর্থ পাচারের অভিযোগে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তাবিথ আউয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপ-পরিচালক আকতার হামিদ ভূঁইয়া। তাবিথ আউয়াল বলেন, সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে হয়রানি করা। তাকে কেন্দ্র করেই আমাদের সবাইকে হয়রানি করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুদক আমার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ করেছে, তা আপনারা তাদের কাছ থেকে জেনে নিবেন। তবে দুদক কর্মকর্তাদের সাথে আমার সুস্থ কথাবার্তা হয়েছে। আর আমি মনে করি একটা সুস্থ অনুসন্ধান দেখতে পারবো।
ঢাকা উত্তর সিটির মেয়রপ্রার্থী হিসেবে এই অভিযোগ কোনো প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে তাবিথ আউয়াল বলেন, বর্তমানে নির্বাচনটি স্থগিত রয়েছে, আশা করছি নির্বাচনটি হবে। আর আইন অনুযায়ী আমি প্রার্থী রয়েছি।
তবে অনুসন্ধান শেষ না হলে বলে যাচ্ছে না, এটা দলীয় না অন্য কোনো উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। তাই এ নিয়ে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে চাইছি না।
তিনি বলেন, একটি অনুসন্ধান চলছে এই মুহুর্তে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাইছি না, আর তাছাড়া আইনি বাঁধাও রয়েছে।
এর আগে ২৪ এপ্রিল তারিখে পাঠানো এক চিঠিতে তাবিথ আউয়ালকে ৮ মে সকাল ১০টায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। দুদকের ডাকে সাড়া দিয়ে ৯টা ৩৬ মিনিটে কার্যালয়ে হাজির হন তিনি।
এ ব্যাপারে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, তাবিথ আউয়ালের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, ব্যাংকে অস্বাভাবিক লেনদেন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। এই জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
দুদক সূত্র জানায়, চলতি বছরই তাবিথ আউয়ালের বিরুদ্ধে এ অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
এদিকে, গত ২ এপ্রিল তাবিথ আউয়াল এবং বিএনপির সিনিয়র সাত নেতাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অন্য আরেকটি অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, সন্দেহজনক ব্যাংক লেনদেনসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তাবিথ আউয়াল ছাড়া যেসব সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে, তারা হলেন— স্থায়ী কমিটির চার সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মির্জা আব্বাস, দুই ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও এম মোর্শেদ খান, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল। এ ছাড়া এম মোর্শেদ খানের ছেলে খান ফয়সাল মোর্শেদ খান ও ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
মির্জা আব্বাস ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে আঁতাত করে বিভিন্ন অবৈধ লেনেদেসহ মানি লন্ডারিং করে। এই কারণে মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান করছে দুদক।