সরকারি খরচে ৩ লাখ ৫৯৮ জন দরিদ্র ও অসহায় মানুষ আইনি সহায়তা পেয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত নয় বছরে সরকারি খরচে ৮০ হাজার ৮৬৫টি মামলা নিষ্পত্তিসহ এই সংখ্যক মানুষকে আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আজ শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রমের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে অনুষ্ঠানে বলা হয়, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত কারাগারে থাকা ৫৩ হাজার ৪৭৭ জন কারাবন্দীকে সরকারি ব্যয়ে আইনি সহায়তা দেওয়া হয়। সংস্থার অধীনে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এডিআরের (বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি) মাধ্যমে ৭ হাজার ৭৯৭টি মামলা নিষ্পত্তি করে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে ৮ কোটি ৩৫ লাখ ৯ হাজার ৪৫৪ টাকা আদায় করে দেওয়া হয়েছে।
উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, কারাবন্দীদের মামলায় যথাসময়ে আত্মপক্ষ সমর্থনে আইনগত সহায়তা দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ায়ও গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। কারাগারকে সংশোধনাগারে পরিণত করার জন্য আধুনিক কারা আইন ও পরিবর্ধিত কারাবিধি প্রণয়ন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নের জন্য সবার আগে প্রয়োজন জনসচেতনতা। এই কার্যক্রমের সাফল্য নির্ভর করছে ব্যাপক প্রচার ও জনমত সৃষ্টির ওপর। বিচারক, আইনজীবী, এনজিও কর্মী ও সুশীল সমাজ সরকারের এই কার্যক্রমের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এ উদ্যোগকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দেবেন বলে আশা করেন আইনমন্ত্রী।
‘উন্নয়ন আর আইনের শাসনে এগিয়ে চলছে দেশ, লিগ্যাল এইডের সুফল পাচ্ছে সারা বাংলাদেশ’ এবার এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। ২০১৩ সালে এ দিনটিকে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ঘোষণা করা হয়।
আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক মো. জাফরোল হাছান বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে আইন সহায়তাপ্রাপ্ত খন্দকার খালেদা আক্তার, আবদুল কাইয়ুম ভূইয়া ও দিলীপ পাল নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন|