জার্মানবাংলা২৪ ডটকম: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়ার বিষয়ে বেশ কিছু শর্তের প্রেক্ষিতে তা নাকচ করে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো শর্ত দিয়ে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না।
দুদিন আগে বিএনপির সমাবেশে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রয়োজনে নির্বাচন প্রতিহত করার যে ঘোষণা এসেছে, তাকে ‘বেসুরো আওয়াজ’ হিসেবে বর্ণনা করে কাদের বলেছেন, “এর মধ্যে চক্রান্তের গন্ধ আছে, এর মধ্যে সহিংসতা, নাশকতার আশংকা আমরা দেখছি।”
রোববার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সেতুমন্ত্রী কাদেরের ওই মন্তব্য আসে।
তিনি বলেন, “কোনো শর্তযুক্ত নির্বাচন বাংলাদেশে হবে না। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী ইলেকশন হবে, শর্তের কোনো প্রয়োজন নেই।”
দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শুক্রবার ঢাকার নয়া পল্টনে বিএনপির এক সমাবেশে নির্বাচনে জন্য বেশ কিছু শর্ত তুলে ধরেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে নির্বাচন করতে হলে অবশ্যই এক নম্বর পূর্বশর্ত হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তাকে কারাগারে রেখে কোনো নির্বাচন হবে না এবং এদেশের মানুষ তা হতে দেবে না।”
এছাড়া ভোটের আগে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং নির্বাচনের সময়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবিও তিনি তুলে ধরেন।
ফখরুলের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এতদিন শুনেছিলাম যে কোনো পরিস্থিতিতে তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন। এখন তারা আবার নতুন করে সুর তুলেছেন যে বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। তার চেয়েও এককাঠি এগিয়ে গিয়ে বলেছেন নির্বাচন তারা প্রতিহত করবেন।”
নির্বাচন নিয়ে বিএনপি কোনো চক্রান্ত করলে দেশের ‘জনগণকে সঙ্গে নিয়ে’ তা প্রতিহত করার ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।