জার্মান-বাংলা ডেস্ক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় ২ জনের ফাঁসি ও ৩ জনের যাবজ্জীবনের রায় দিয়েছেন আদালত।
৮ মে) দুপুরে রাজশাহীর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার এক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। এর মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের মাত্র দুই বছরের মাথায় চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।
গত ১১ এপ্রিল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাড়ির অদূরে খুন হন অধ্যাপক রেজাউল করিম। তিনি ‘কোমলগান্ধা’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। ভালো সেঁতার বাজাতেন এবং নিজ গ্রামে একটি গানের স্কুল প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিলেন। অধ্যাপক রেজাউল প্রগতিশীল চিন্তাধারার মানুষ হলেও কোনো দলে সক্রিয় ভূমিকা ছিল না তার।
অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যার ঘটনায় তার ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এর আগেই আসামি খায়রুল ইসলাম বাঁধন, নজরুল ইসলাম ও তারেক হাসান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী রাবির ইংরেজি বিভাগেরই ছাত্র শরিফুল ইসলাম এখনও পলাতক রয়েছেন। তার কোনো হদিস পায়নি পুলিশ। শরিফুল জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য। অভিযুক্ত অন্য চারজন হলেন- বগুড়ার শিবগঞ্জের মাসকাওয়াত হাসান ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে সাকিব, নীলফামারির মিয়াপাড়ার মো. রহমতউল্লাহ, রাজশাহী মহানগরীর নারিকেলবাড়িয়া এলাকার আব্দুস সাত্তার ও তার ছেলে রিপন আলী।
রাজশাহীর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ৩২ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। পরে ৯ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত উভয়পক্ষ আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।