রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীতে অসহায় এক হিন্দু নারীকে জোর করে ধর্মান্ধরিত ও নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের প্রশাদপাড়া গ্রামে। এ অভিযোগ তুলেছেন ওই গ্রাসের কার্তিকের মেয়ে প্রিয়া।
এদিকে খোজ খবরে জানা গেছে, তানোর উপজেলার রাতোল গ্রামের বছির উদ্দিনের ছেলে মিঠনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন হিন্দু মেয়ে প্রিয়ার পরিবার।
ভিকটিম ও এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, ওই হিন্দু নারীর বাবা (কার্তিক) অনেক কষ্ট করে মেয়ের বিয়ে দিয়ে ছিলেন। কিন্তুু তানোর উপজেলার চান্দুড়িয়া গ্রামের বছির উদ্দিনের ছেলে মিঠনের কুনজর পড়ে অসহায় মেয়ে প্রিয়ার ওপর। মিঠন হিন্দু মেয়েটির সাথে নিয়মিত মুঠো ফোনে অালাপ করত। এক পর্যায়ে নানা কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আগের স্বামীর ঘর ভেঙ্গে মিঠন মেয়েটিকে ধর্মান্ধরিত করে এবং বিয়েও করে বলে জানান ওই হিন্দু নারী। মেয়েটি এখন তার বাবা কার্তিকের বাড়িতে রয়েছে।
এদিকে প্রিয়ার পরিবারের পক্ষে মিঠনের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে বিচারের দাবী তুলেছে হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ নেতাদের কাছে।
অপরদিকে অারো জানা গেছে, বিয়ের কিছু দিন পরে মেয়েটিকে নির্যাতন শুরু করেছে মিঠন এবং তার পরিবারের সদস্যরা। এ বিষয় স্থানীয় রিশিকুল ইউনিয়নের মেম্বার মুজিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমাধানের উদ্দেশ্যে দু’পক্ষের লোকদের সাথে নিয়ে বসার কথা জানান তিনি।
সর্বশেষ খবর নিয়ে জানা যায়, এখন পর্যন্ত কোন সমাধান হয়নি। মেয়েটি এখন বিচার চেয়েছেন বাংলাদেশের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে, এছাড়া সচেতন মহল, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের নেতাদের কাছে, ভারতের হাইকমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন মেয়েটির পরিবার সূত্রে এসব কথা জানা গেছে।
এছাড়া এ বিষয় সম্পর্কে প্রশাসনের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠন, ন্যাশনাল ক্রাইম অবজারভেশন এন্ড লিগ্যাল এইড সংস্থা, পর্যবেক্ষণ করছে এবং নতুন করে তদন্ত করবে।
অত্র সংগঠনের পক্ষে রাজশাহী ডিভিশন সমম্বয়কারী সামাজিক সংগঠনের নেতাদের প্রতি জরুরী নজর দেয়ার কথা সংবাদ কর্মীকে জানিয়েছেন।
গোদাগাড়ী থানার ওসিকে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পাইনি, কিন্তুু পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।