জার্মানবাংলা২৪ ডটকম: বলার মোস্তাফিজের কাটারে বিধ্বস্ত করে পাকিস্তানকে ৩৭ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলবে বাংলাদেশ। ম্যাচে মাত্র ৪ উইকেট পেলেও ক্যাচ মিস না হলে মোস্তাফিজ পেতে পারতেন ৬ উইকেট। তা না হলেও পাকিস্তানকে হারানোয় তার বোলিংয়ের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। পাকিস্তান তাদের শুরুর দিকে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে গেলেও মালিক- ইমাম জুটি চোখ রাঙাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনের লড়াই ব্যর্থ হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত দারুণ বোলিং-ফিল্ডিংয়ে সেই ঘাটতি পুষিয়ে দেয় টাইগাররা।
উজ্জীবিত পাকিস্তানকে বাংলাদেশ আবারও মাটিতে টেনে আনে বোলিংয়ে। বিশেষ করে দুটি ক্যাচ দারুণভাবে ম্যাচে ফেরায় বাংলাদেশকে। এমনিতেই সাকিব আল হাসানকে ছাড়া খেলা মানে দুজন খেলোয়াড়কে হারানো। বাংলাদেশ খেলেছেও একজন বোলার কম নিয়ে। মাহমুদউল্লাহ-সৌম্যরা বোলিংয়ের শূন্যতা ভালোভাবেই পুষিয়ে দিয়েছেন। মাহমুদউল্লাহ তো পুরো ১০ওভার বোলিং করে মাত্র ৩৮ রান দিয়ে নিয়েছেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি। ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে সাত নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়া ইমাম (৮৩) তাঁর শিকার। ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে মোস্তাফিজ সবচেয়ে সফল। কিন্তু উইকেটসংখ্যায় পিছিয়ে থাকলেও ১০ ওভারে মাত্র ২৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন মিরাজ।
শুরুটাও করেছিলেন মিরাজ। পাকিস্তানের ইনিংসের পঞ্চম বলেই ফখর জামানকে রুবেলের ক্যাচ বানান। অবশ্য মিডঅনে রুবেল যেভাবে ক্যাচটা ধরেছেন, লেখা উচিত: ফখরকে মিরাজের উইকেট বানিয়েছেন রুবেল। পরের ওভারে বাবর আজমকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন মোস্তাফিজ। ৩ বলের মধ্যে দুই ব্যাটসম্যান নেই পাকিস্তানের। দলের বিপদ দেখে ওপরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন সরফরাজ। নিজের দ্বিতীয় ও ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তাঁকে মুশফিকের ক্যাচ বানান মোস্তাফিজ। ১৮ রানে ৩ উইকেট নেই, বাংলাদেশের বিপক্ষে এতটা বাজে শুরু আগে কখনো করেনি পাকিস্তান।
সেখান থেকে ৬৭ রানের জুটি গড়ে ভয়ই দেখাচ্ছিলেন ইমাম ও শোয়েব মালিক। মিডউইকেটে বাজবাখি হয়ে ওঠা মাশরাফির দুর্দান্ত এক ক্যাচের শিকার হয়ে ফেরেন শোয়েব (৩০)। এবার বোলারের ভূমিকায় রুবেল। এশিয়া কাপে নিজের সেরা ছন্দে ছিলেন শোয়েব মালিক। তাঁকে ফেরানো বাংলাদেশের জন্য ছিল বড় সুখবর। কিছুক্ষণ পর সৌম্যের বাউন্সারে শাদাব উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে ১০০ থেকে ৬ রান দূরে থাকতে পঞ্চম উইকেট হারায় পাকিস্তান।
ষষ্ঠ উইকেটে আসিফ আলীকে সঙ্গে নিয়ে ৭১ রানের জুটি গড়েন ইমাম। আসিফ ব্যক্তিগত ২২ রানে মোস্তাফিজের বলে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন পেছনে। কিন্তু চোট নিয়ে বেরিয়ে যাওয়া মুশফিকের বদলে কিপিং করা লিটন এক হাতে ক্যাচটি ধরতে গিয়ে গ্লাভসবন্দী করতে পারেননি। সেই জুটিটাই ধীরে ধীরে বিপদের কারণ হয়ে দেখা দিচ্ছিল। লিটন পরে প্রায়শ্চিত্ত করেছেন দুটি দারুণ স্টাম্পিং করে। প্রথমে মিরাজের বলে আসিফকে (৩১), এরপর মাহমুদউল্লাহর বলে ইমামকেও (৮৩)। পরপর দুই ওভারে এই দুজনের বিদায়ে নিশ্চিত হয়ে যায় পাকিস্তানের পরাজয়। ১৬৭ রানে পাকিস্তান হারায় ৭ উইকেট।