ইতালির মিলানে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের উদ্যোগে বৈধপথে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের রেমিট্যান্স সম্মাননা ২০১৭ দেওয়া হয়েছে। গত বছর কনস্যুলেট কর্তৃক বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিবিষয়ক এক কর্মশালায় প্রথমবারের মতো রেমিট্যান্স সম্মাননা চালু করার ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই ঘোষণার প্রেক্ষিতে রেমিট্যান্স সম্মাননার জন্য উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি ও রেমিট্যান্স প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়।
প্রাপ্ত আবেদন বিবেচনা করে দুটি ক্যাটাগরিতে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। ব্যক্তি ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী সাতজন প্রবাসী বাংলাদেশিকে এবং প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে রেমিট্যান্স সম্মাননা ২০১৭ প্রদান করা হয়। সম্মাননাপ্রাপ্ত সকলের হাতে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট তুলে দেন মিলানে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল রেজিনা আহমেদ।
কনসাল (শ্রম) মোহাম্মদ রফিকুল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মিলান ও তার আশপাশের বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউসের প্রতিনিধি ও স্টেকহোল্ডারসহ প্রবাসী বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মাননা প্রদান শেষে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে কীভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়ানো যায় সে বিষয়ে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় তারা বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এ বিষয়ে তাদের কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন। অংশগ্রহণকারী সকলেই সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের ‘রেমিট্যান্স সম্মাননা’ প্রদানের জন্য বাংলাদেশ কনস্যুলেটকে ধন্যবাদ জানান।
সমাপনী বক্তব্যে রেজিনা আহমেদ বলেন, বৈধপথে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের রেমিট্যান্স সম্মাননা দিতে পেরে তিনি নিজে সম্মানিত বোধ করছেন। তিনি আরও বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স প্রবাহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি অন্যতম চালিকা শক্তি। এ রেমিট্যান্স দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, চলতি হিসাবের ঘাটতি হ্রাস ও সামগ্রিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক হচ্ছে।
রেজিনা আহমেদ আরও বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। এতে প্রবাসী আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, এ অনন্য অর্জনকে টেকসই করতে হলে আমাদের আরও বেশি বেশি করে বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে সরকারের ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রমালিকানাধীন জনতা এক্সচেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত প্রধান, বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ প্রায় ৮০ জন স্টেকহোল্ডার অংশগ্রহণ করেন।
ইতালির মিলান থেকে: