ফাতেমা রহমান রুমা: প্লাস্টিক যে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক, এ বিষয়ে আজ আর কোনো সন্দেহ নেই৷ কিন্তু দৃশ্যমান প্লাস্টিক এড়িয়ে চলা সম্ভব হলেও প্রায় অদৃশ্য, ক্ষুদ্র মাইক্রোপ্লাস্টিক পরিবেশের মধ্যে মিশে কতটা ক্ষতি করছে, তা আজও স্পষ্ট নয়৷
‘গণ্ডার’ নামের নৌকা জার্মানির রাইন নদীর উপর গবেষণার কাজ চালাচ্ছে৷ জার্মান ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ হাইড্রোলজিরগবেষকরা নদীতে মাইক্রোপ্লাস্টিক শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন৷ প্লাস্টিকের এই কণা জার্মানির নদী ও হ্রদগুলির কতটা ক্ষতি করছে, সে বিষয়ে বিশদ জানার জন্যই গবেষণা করছেন জার্মান পরিবেশ গবেষণকরা। কারণ এখনো সে বিষয়ে এখনো গবেষকদের ধারণা খুবই কম।
জার্মান অ্যানিমাল ইকোলজিস্ট প্রো. ক্রিস্টিয়ান লাফর্শ বলেন, ‘‘বিভিন্ন জিবের শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করলে বর্তমানে অনেক ঝুঁকির কথা শোনা যাচ্ছে৷ যেমন ধারালো টুকরো পাচনতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে৷ তাছাড়া প্লাস্টিকের মধ্যে অ্যাডিটিভ পাচনতন্ত্র হয়ে শরীরে প্রবেশ করে নেতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে৷”
প্লাস্টিকের মধ্যে বিষাক্ত পদার্থ পোকার মাধ্যমে মাছের শরীরেও প্রবেশ করতে পারে৷ তারপর মানুষের খাদ্য শৃঙ্খলেও তা স্থান পেতে পারে৷
এ বিষয়ে প্রো. লাফর্শ বলেন, ‘‘আমরা যেটুকু জানি, সেটা হলো মাইক্রোপ্লাস্টিক এর মধ্যে জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে পৌঁছে গেছে৷ মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা পাচনতন্ত্রের মাধ্যমে টিস্যু বা তন্তুর মধ্যে চলে যাবার আশঙ্কা থেকে যায়৷”
জার্মান ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ হাইড্রোলজির গবেষকরাও তেমনটাই অনুমান করছেন৷ গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিক-দূষিত নদীগুলির মধ্যে রাইন অন্যতম৷ বাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় তা জানা গেছে৷ সূত্র: ডেয়চে ভেলে