শামীম খাঁন, মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউনিয়নের ৬৪ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৮ শে জুলাই সকাল দশটার সময় বিদ্যালয়ের অভিভাবকগণ এর পক্ষ থেকে দপ্তরী কাম নাইট গার্ড ধর্ষক বাবুর শাস্তির দাবিতে এলাকার সুধী সমাজ ও অভিভাবকগণের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য মানববন্ধনে বক্তারা বলেন লম্পট বাবু ১৮ তারিখ বুধবার স্কুল ছুটির পর সেজিয়া ও মাইলবাড়িয়া গ্রামের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তারা চিৎকার করে পালিয়ে যায়। পরে এ বিষয়টি নিয়ে ২১ তারিখ শনিবার ওই দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবকগণ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ামাত্র ধর্ষক বাবুর ফোড়ার ওপরে বিষফোঁড়া তৈরি হয়।
উল্লেখ্য আরো গত ২ মাস আগে একই বিদ্যালয় এর পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ইসমতারাকে স্কুল ছুটির পর ফুসলিয়ে স্কুলের পার্শ্ববর্তী নিজ বাড়িতে ধর্ষণ করে। সেই কথাটি স্বীকার করেছেন, ওই শিক্ষার্থী এই বিষয়টি শোনার পর সরজমিনে আমাদের প্রতিনিধি ধর্ষিতা ইসমতারার কাছে জানতে চাইলে সে আমাদেরকে বলে গত দুই মাস আগে স্কুল ছুটির পর বাড়ি যাওয়ার সময় ধর্ষক বাবু আমাকে বলে প্রধান শিক্ষক আমাকে প্রশ্ন দিয়েছে একটু পরে একা এসে আমার কাছ থেকে বইগুলো দেখে নিয়ে যাস। সবাই চলে যাওয়ার পরে আমি বই দাগার উদ্দেশ্যে গেলে সে তার বাড়ির ভিতরে নিয়ে মুখে গামছা দিয়ে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এবং সে আমাকে ছুরি দেখিয়ে বলে এই ঘট্না কাউকে বললে তোকে মেরে ফেলবো। এই কারণে ভয়ে আমি কাউকে বলতে পারিনি। যখন আমার ক্লাসের বান্ধবী নয়ন মনি ও মারিয়া স্যারদের কাছে অভিযোগ করে তখন আমি বিষয়টি সবাইকে বলতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য লম্পট বাবু সেজিয়া গ্রামের শফিউদ্দিনের ছেলে। এলাকাবাসীর দাবি ধর্ষক বাবুকে স্কুল থেকে বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। তা না হলে আমাদের সন্তানদেরকে সেজিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় আর পাঠাবো না।