শামীম খাঁন, মহেশপুর, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগে বয়স জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পদ বঞ্চিত প্রার্থী জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন (যার মামলা নং ১৬০/১৮)।
মামলায় বিবাদী করা হয়েছে নিয়োগ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলামসহ মোট ৬ জন। এদিকে এ মামলা আদালত থেকে তুলে নিতে একটি মহল হুমকী-ধুমকী দিচ্ছেন বলে মামলার বাদী ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মহেশপুর উপজেলায় ২৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৬ জন দপ্তরী কাম প্রহরী পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগের বিপরীতে মোট ১৪ জন প্রার্থী আবেদন করে।
ওই পদে নিয়োগ দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলামকে নিয়োগ কমিটির সভাপতি করে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই নিয়োগ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ৯ জুন মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এ পরীক্ষায় ৮জন অংশ নেয়। অভিযোগ রয়েছে এই ৮জন প্রার্থীর মধ্যে মোঃ দেলোয়ার হোসেন নামের এক প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এমনকি নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থী মোঃ দেলোয়ার হোসেনের বয়স ৩৮ বছর। ভোটার নং ৪৪০৮৩৯০০০২৭২, ভোটার তালিকানুযায়ী তার জন্ম তারিখ ৫ অক্টোবর ১৯৭৯। এরআগে গত ৩ জুলাই সদ্য দপ্তরীতে নিয়োকারী দেলোয়ার হোসেনের বয়স জালিয়াতির ঘটনাটি ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে অবহিত করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জসিম উদ্দিন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তিভোগিরা অভিযোগ করে আরো জানান, প্রত্যেকটি স্কুলেই ৮ থেকে ১০লাখ টাকা করে নিয়ে প্রহরী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা অস্বাকীর করে জানান, বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। বয়স যদি জালিয়াতি হয়ে থাকে তা আদালত দেখবেন। তাই এ বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই।