তোফাজ্জল হোসেন, মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনার মদন উপজেলার সদর ইউনিয়নের চলতি অর্থবছরে দশ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে পাঁচকুনিয়া ও পরাজকুনিয়া হাওরের ফসল রক্ষা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ি বাধঁ কেটে মাছ নিধন করছে এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা। পানি নিচে নেমে যাওয়ায় বোরো ধানের আবাদ নিয়ে আশঙ্খায় ভুগছেন এলাকার কৃষকগণ।
অভিাযোগে প্রকাশ, মদন উপজেলার দক্ষিনপাড়া গ্রামের আওয়াল, রুহুল আমীন সহ ৯/১০ জন ব্যক্তি মাছ ধরে নিজেরা লাভবান হওয়ার লক্ষে চলতি অর্থবছরে দশ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নির্মিত পানি উন্নয়ন বোর্ডরের ফসল রক্ষা পাচকুনিয়া ও পরাজকুনিয়া হাওরের বেড়ি বাধঁ কেটে ফেলেছে। ফলে হাওরের উঁচু জমির পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে বোরো ধান আবাদের সময় ওই জমিগুলো পানির অভাবে অনাবাদি থাকার আশঙ্খা রয়েছে।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষে কাওসার মিয়া গত ৮ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরে করেছেন। রোববার (১৩ অক্টোবর) পর্যন্ত উক্ত বেড়ি বাঁধ কেটে মাছ ধরা অব্যাহত রয়েছে।
মদন ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য আবুল কাশেম মানিক জানান, এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দ্রুত আশু হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
অভিযুক্ত প্রভাবশালী আওয়াল, রুহুল আমীন, ফারুক জানান, বেড়ি বাধেঁর ভিতরে আমাদের জমি পত্তন দিয়েছি মাছ নিধনের জন্য। কিন্তু বেড়ি বাধঁ কেটে মাছ নিধনের জন্য নয়। এই বাধঁটি এমনিতেই ভেঙ্গে যায়।
এ ব্যাপারে মদন ইউপি চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান শেখ মানিক জানান, আমি শুনেছি বেড়ি বাধঁ কেটে হাওরের পানি শুকিয়ে মাছ নিধন করছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দ্রুত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
ইজারাদার নজরুল ইসলাম জানান, আমি দক্ষিণপাড়া গ্রামের আওয়াল ,রুহুল আমীন, জলিল, ফজলে রাব্বির কাছ থেকে মাছ ধরার জন্য উক্ত জমিগুলো এক বছরের জন্য ৬০ হাজার টাকায় পত্তন নিয়েছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিবারন চক্রবর্তী জানান, বেড়ি বাধঁ কেটে মাছ নিধনের অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয় প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওয়ালীউল হাসান জানান,এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বেড়ি বাধঁ কেটে মাছ ধরার লোকজনদেরকে ডেকে অফিসে আনলে, তারা কাটা বেড়ি বাধঁ বেঁধে দিয়ে আর মাছ ধরবে না বলে অঙ্গিকার নামায় স্বাক্ষর করে যায়।