তোফাজ্জল হোসেন, মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: ভুয়া টিপসই দিয়ে ভিজিএফ এর চাল আত্মসাৎ করায় নেত্রকোনার মদনে ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ৬ ইউপিসদস্যসহ ভুক্তভোগীরা। বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ অভিযোগ দায়ের করেন তারা।
অভিযোগে জানা যায় , ৭ নং নায়েকপুর ইউনিয়নের ৬ ইউপি সদস্য এবং এলাকার হতদরিদ্র ভিজিএফ তালিকাভুক্ত ব্যাক্তিগণ মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নায়েকপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ভিজিএফ এর চাল উত্তোলন করতে গেলে তাদের নামের চাল চেয়ারম্যানের যোগসাজুশে তার লোকজন অবৈধ ভাবে মাস্টার রোলে ভূয়া টিপসহ দিয়ে চাল আত্মসাৎ করেছেন।
উক্ত ইউনিয়নে ১৮শ৪০ জনের নামে চাল বিতরণের তালিকা বরাদ্দ অছে। এর মধ্যে সমস্ত চাল ইউপি গুদামে মজুদ না করে ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতিতেই চেয়ারম্যান একক ক্ষমতা বলে চাল বিতরণ করেন। প্রায় ১ হাজার লোকের চাল না দিয়ে অবৈধ ভাবে মাস্টার রোলে টিপ সই দিয়ে চাল আত্মসাৎ করে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যগণ ও জনগণ চেয়ারম্যানের কাছে তাদের নামের চাল দেওয়ার জন্য বললে তিনি ও তার লোকজন তাদের সাথে অশুভ আচরণ করে চাল না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
ভিজিএফ চালের তালিকা ভুক্ত, নায়েকপুর গ্রামের আউলাদ খান,খাইরুল খান,মামুন,সমরাজ,হাসেম জানান, মঙ্গলবার ভিজিএফ এর চাল উত্তোলন করতে ইউপি কার্যালয়ে গেলে টিপসই দিয়ে আমাদের ১০ কেজি চাল কে বা কারা নিয়ে গেছে। আমাদের চাল কে উত্তোলন করে নিয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর, নাজমূল হাসান গোলাপ,রাসেল গাজী সবুজ,আহিম উদ্দিন,মোঃ সুলতান উদ্দিন জানান,আমাদের দেয়া তালিকা ভুক্ত লোকজনের চাল উত্তোলন করতে গেলে ভূয়া টিপসই দিয়ে সমস্ত চাল চেয়ারম্যানের যোগসাজুসে তার লোকজন উত্তোলন করে নিয়ে যায়। এর প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান আমাদের উপর ক্ষেপে উঠে অশালীন আচরণ করেন। এ ব্যাপারে বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রুমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমি ইউএনও স্যার ও ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে ১৮শ৪০জন ভিজিএফ তালিকা ভুক্ত লোকজনের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করেছি। আমার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যগণ মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ইউএনও মোঃ ওয়ালীউল হাসান জানান, এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।