রাজীবুল হাসান, ভৈরব প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ছিনতাইকারির ছুরিকাঘাতে অপর ছিনতাইকারি নিহত। নিহত ছিরতাইকারি পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার মোবারক মিয়ার ছেলে বাপ্পী (১৮)।
সোমবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ভৈরব মেঘনা রেল ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ভৈরব রেলওয়ের থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এছাড়াও স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় আরিফুল ইসলামকে ভৈরব হাসপাতালে নিয়ে যায় ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভৈরব মেঘনা ত্রী ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে চার কলেজ শিক্ষার্থী বেড়াতে আসেন। তারা হলেন – উপজেলার জামালপুর এলাকার জিলুর রহমানের মেয়ে জাফরিন রহমান ও ছেলে আরিফুল রহমান, ছনছড়া এলাকার গোলাপ মিয়ার মেয়ে তানজিনা, আবুল কাসেম এর ছেলে সাগর মিয়া। তারা চার জন মেঘনা রেল ব্রীজ সংলগ্ন রেললাইন দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ ৬-৭ জন ছিনতাইকারি দেশীয় ছুরির ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে ১টি স্বর্ণের চেইন, ৩টি মোবাইল সেট ও নগদ ১২শ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ছিনিয়ে নেওয়া চেইন, মোবাইল,টাকা ভাগাভাগি করতে গিয়ে সঙ্গীয় ছিনতাইকারির ছুরিকাঘাতে অপর ছিনতাইকারি বাপ্পী ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায়।
এ ঘটনায় আহত আরিফুল ইসলামকে ভৈরব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জাফরিন রহমান জানান, সোমবার দুপুরে বড় ভাই ও বন্ধুদের সাথে মেঘনা ব্রীজের নিচে বেড়াতে আসি। আমরা সবাই ব্রীজের উপর উঠে রেললাইন দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় কয়েকজন যুবক এসে ছুরির ভয় দেখিয়ে আমার দুই ভাইকে ছুরিকাঘাত করে তাদের কাছ থেকে মোবাইল, নগদ টাকা, ও আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। তারপর ছিনিয়ে নেওয়া স্বর্ণের চেইন,দামি মোবাইল সেট ভাগাভাগি নিয়ে এক ছিনতাইকারি অপর ছিনতাইকারি বাপ্পীকে গলায় ছুরিকাঘাত করে খুন করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমুল কবির জানান,আরিফুল রহমান গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ করে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
ভৈরব রেলওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মজিদ জানান, মেঘনা নদীর পাড় রেলওয়ে সেতু সংলগ্ন এলাকায় প্রায়ই এ ধরণে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। দুপুরে ঘটনায় ছিনতাইকারিদের ছিনিয়ে নেওয়া মালামাল ভাগাভাগি নিয়ে ছিনতাইকারি বাপ্পী নামে একজন ঘটনাস্থলে খুন হয়।
নিহত ছিনতাইকারি বাপ্পীর বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় ছিনতাইসহ হত্যা মামলা রয়েছে। এ খুনের ঘটনায় রেলওয়ে থানায় নিহত বাপ্পী বাবা মোবারক মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা ও শিক্ষার্থী সাগর মিয়া বাদী হয়ে একটি ছিনতাইয়ের মামলা দায়ের করে ।