সোমবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৮ টায় দিকে ভৈরব বাজার বাগানবাড়ি এলাকার হাজী শামসু উদ্দিন ভবনের ৫ম তলার কন্যার নানার ভাড়াঁটিয়া বাসায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বাল্যবিবাহের আয়োজন ভেঙ্গে দিয়ে তাকে এই কারাদণ্ড দেয় । সে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার বাখারনগন গ্রামের আব্দুল কাদের মিয়ার ছেলে ।
এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কাজী ফয়সাল। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন ভৈরব থানা তদন্ত কর্মকর্তা বাহালুল খান বাহার, ফাঁড়ি থানার ইনচার্জ মো.শরীফ আহমেদসহ কন্যার পরিবারের স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজ সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ভৈরব শহরের বাগানবাড়ী রোডের একটি ভবনের ৫ম তলায় গিয়ে দেখতে পায় বাল্য বিবাহের আয়োজন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নরসিংদি জেলার রায়পুরা গ্রামের রফিকুল ইসলামের নাবালিকা কন্যা তৌহিদা ইসলামকে একই উপজেলার হাফেজ আবদুল মোমেনের ছেলে আতিকুর রহমানের সাথে বিয়ে দিতে সোমবার রাতে ওই বাসায় আয়োজন করে। বাসাটি কন্যার নানার বাসা বলে জানা গেছে। তৌহিদা ঢাকার গাউছিয়া এলাকার একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী । তার বয়স ১৫। ঘটনার সময় পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেখে বর পক্ষ কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে কন্যার বাবা অপরাধ স্বীকার করলে তাকে এই কারাদণ্ড দেয়া হয়।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কাজী ফয়সাল জানান, সরকারের আইনুযায়ী ১৮ বছরের আগে কোন কন্যাকে বিয়ে দেয়া আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধ। বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। সরকারী আইন মোতাবেক কোন অভিভাবক তার কন্যাকে ১৮ বছর না হলে বিয়ে দিতে পারে না। প্রাপ্ত বয়স না হলে কোন মেয়েকে যদি বিয়ে দেয়া হয়, তাহলে মেয়ের বিয়ের পর নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে ।