জার্মান-বাংলা রিপোর্ট: গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার ফুলদী গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার মুহাম্মদ ইসলাম শেখ পেশায় মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী ও কৃষক। গত আড়াই বছর আগে ছেলে মোতালেব শেখকে বিদেশে পাঠানোর আশায় টাকা জমা দেন ভুয়া আদম বেপারীর পিতার কাছে। আদম বেপারী একই এলাকার রমনী মোহন শীলের সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছেলে রঞ্জন শীল। মেডিক্যালসহ সমস্ত খরচ বাবদ পাচ লক্ষ নব্বই হাজার টাকার বিনিময়ে মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই মোতালেবকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি দেয় রঞ্জন শীল ও তার পিতা রমনী শীল।
কিন্তু তিন মাসের কথা থাকলেও কেটে যায় আড়াই বছর। মোতালেবের আর সিঙ্গাপুর যাওয়া হয়নি। অসহায় ইসলাম শেখের পরিবার ধরনা দিতে থাকে টাকা ফেরত নেয়ার জন্য।কিন্তু রমনী ও তার স্ত্রী বিভিন্ন কৌশলে টাকা না দিয়ে টালবাহানা শুরু করে। কখনো বলে বিদেশ থেকে টাকা পাঠালে আবার কখনো বলে জমি বিক্রি করেই টাকা দিবে, কিন্তু কোন ভাবেই দেয়নি টাকা।
এক পর্যায়ে ইসলাম শেখ টাকা আদায়ে শরনাপন্ন হন ইউনিয়ন মেম্বারের। মেম্বার গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে শালিস করে ইসলাম শেখকে টাকা প্রাপ্তীর লিখিত একটি ষ্ট্যাম্প করে দেন। ঐ ষ্ট্যাম্প করে দেবারপর রমনী ও তার স্ত্রী কয়েক কিস্তিতে নামমাত্র কিছু টাকা পরিশোধ করে।
এরপর কেটে যায় আরো ছয় মাস। কিন্তু টাকা দেয়ার নাম নেই, টাকা চাইলেই বিভিন্ন রকম বাহানা, দেয়া হয় হুমকি ধমকি। সবশেষ অসহায় পঙ্গু ইসলাম শেখের স্ত্রী রাশিদা বেগম কালীগঞ্জ থানার শরনাপন্ন হলে, থানা পুলিশ রমনী শীল ও তার স্ত্রীকে থানায় ডেকে এনে স্থানীয় মেম্বারের মধ্যস্থতায় বিষয়টি নিষ্পত্তির উদ্যেগ নেয়।উদ্যেগ অনুযায়ী আগামী চার মাসের মধ্যে সমান চারটি কিস্তিতে ইসলাম শেখের সব টাকা পরিশোধ করে দেয়া হবে মর্মে রমনী শীল লিখিত প্রদান করে।
অসহায় ইসলাম শেখ ইতিপূর্বে র্দূঘটনায় পঙ্গু হয়ে র্দীঘদিন যাবত বিছানায় শয্যাশায়ী। প্রায় দুই বছর রমনী ও তার ছেলের বিদেশে পাঠানোর অপেক্ষা শেষে, বিকল্প পথে অনেক ধার-দেনা করে ইসলাম শেখ তার ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছেন। এখন অপেক্ষার প্রহর গুনছেন রমনীর কাছ থেকে কখন ফিরে পাবেন তার প্রাপ্য টাকা, আর কিভাবে শোধ দিবেন বিসাল ধার-দেনা।উল্লেথ্য, রমনী মোহন শীল তার ছেলের মাধ্যমে বিদেশে পাঠানোর নাম করে বহু লোকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
তাদের ভুয়া আদম ব্যবসায় অনেক পরিবার আজ র্স্ববসান্ত। আজ পযর্ন্ত রমনী বা তার ছেলের মাধ্যমে কেউ বিদেশে গেছেন, এলাকার কেউ এ রকম কোন তথ্য দিতে পারেননি। রমনী শীল, তার স্ত্রী ও ছেলের বিচার দাবী করেছেন এলাকাবাসী।তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তেক্ষেপ কামনা করেছেন যেন আর কোন পরিবার ভুয়া আদম বেপারীর থপ্পরে পড়ে প্রতারিত বা র্স্ববসান্ত না হন।