হাবিবুর রহমান ,গাজীপুর প্রতিনিধি:“ভালাই আছি, কাঠ ক্যাইটা বেচি, বয়স্ক ভাতা পাই। কষ্ট ন্যাই মনে”।
রাস্তার ধারে শালবনে কাঠ কাটার ফাঁকে একদমে এসব কথা বলছিলেন সত্তোরোর্ধ বীনা রানী । বাড়ি কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে । এ রামচন্দ্রপুর গ্রামে বীনারানীর মতো বৃদ্ধা অনেকেই পরিশ্রম করেই চালাচ্ছেন তাদের জীবন । বীনারানীর স্বামী সুধিন দাস সংসারে অচল । বয়স আশির মতো । কাজ করতে পারে না । বসেই কাটায়। সংসারে উপার্জন করার একজন লোকই বীনা রানী । সন্তান নেই ।
একজন বয়োবৃদ্ধ নারী হয়েও তিনি কাঠ কাটেন ও তা বাজারে বিক্রি করেন । তা দেখে স্থানীয় লোকজন তাকে সহযোগিতাও করেন । সরকারের বয়স্ক ভাতাও পান তিনি।
ফুুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ইব্রাহিম মিয়া তাকে (বীনারানী) বয়স্ক ভাতা দেয়ার কথা স্বীকার করেন
শরীরের চামড়ার ভাজে ভাজে তার বয়সের ছাপ । কর্মঠ ও সদালাপী আদিবাসী ওই নারী বললেন ,“ চেয়ারম্যান মেম্বাররাও আমাদের খোঁজ নেন। খেয়াল টেয়াল রাখেন, ভালোই আছি বেশ ”।