জার্মানে ধীরে ধীরে মুসলমানদের অবস্থান সুসংহত হচ্ছে। জার্মানিতে গ্রীষ্মে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের মধ্যে প্রায় ১৭ থেকে ১৮ ঘণ্টার ব্যবধান। অর্থাৎ রোজা রাখা মানেই এই লম্বা সময় কিছু না খেয়ে থাকা। বিশেষ করে, যারা শারীরিক পরিশ্রম করেন তাদের জন্য অবশ্যই খুব কঠিন এ কাজ। তারপরও রমজান এলেই সাড়া পড়ে যায় জার্মান মুসলমানদের মাঝে। তারা বিপুল উৎসাহের সঙ্গে রোজা পালন করে থাকেন। তবে অনেক কষ্ট আর ত্যাগের বিনিময়ে সেখানে তাদের ধর্মীয় বিধি-বিধান পালন করতে হয়।
সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ মুসলিমস এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জার্মানিতে শারীরিকভাবে সক্ষম মুসলমানদের ৯৪ শতাংশই রোজা পালন করেন। বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা সত্ত্বেও অনেক মুসলিম অ্যাথলেট পালন করে থাকেন সিয়ামব্রত। এমনকি জার্মান সেনাবাহিনীতে যে হাজার খানেক মুসলমান সৈন্য রয়েছে- তাদের রোজা পালনের সুবিধার্থে বিশেষ ব্যবস্থায় রাতে ক্যান্টিন খোলা রাখা হয়।
বর্তমানে দেশটিতে দু’হাজারের মতো মসজিদ আছে। রয়েছে প্রচুর ইসলামিক সেন্টার ও নামাজের স্থান। এ সব ইসলামিক সেন্টারের তরফ থেকে রোজাদারদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়। ব্যবস্থা হয় ইফতার পার্টিরও।
এদিকে জার্মানির সব মুসলিম একই সময় মেনে রোজা পালন করেন- এমন নয়। অনেক মুসলিম স্থানীয়ভাবে চাঁদ দেখে রোজা রাখেন। ফলে অন্য অনেক মুসলিমের সঙ্গে তাদের সময়ের পার্থক্য হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে তারা এক অথবা দুই দিন পর রোজা রাখা শুরু করেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, অন্য মুসলিমরা যখন মুসলিমদের প্রধান উৎসব ঈদ উদযাপন করছেন; সেদিন অনেক মুসলিমকে রোজা পালন করতে দেখা যায়। এখানকার রোজাদাররাও ইউরোপের অন্যান্য দেশের মুসলমানদের মতো ইফতার করে থাকে। আমাদের দেশের মতো ইফতারে বাহুল্য বিলাস তাদের পছন্দ নয়।