জার্মান-বাংলা ডেস্ক: মুটিয়ে যাচ্ছে সমস্যা কি। একটু সচেতন হলেই আপনি আপনার পেটের মেদ কমাতে পারেন। তার জন্য ডাক্তার নয়, প্রাকৃতিকভাবে যেসব ফল ও সবজি পাওয়া তার ওপর আপনি ভরসা রাখতে পারেন। যেমন-
সবুজ চা: হালকা এ পানীয় কেবল শরীরকে সতেজই রাখে না, সঙ্গে ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। সবুজ চায়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের প্রাচুর্য পরোক্ষভাবে অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে।
বাদাম ও অলিভ অয়েল: শরীরে প্রয়োজনমতো ফ্যাটের সরবরাহ থেকে যদি বঞ্চিত হয় তাহলে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখুন কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, কুমড়ার বিচি, শিমের বিচি, কিডনি বিন ও জলপাইয়ের তেল।
সামুদ্রিক মাছ: সামুদ্রিক মাছে থাকে ওমেগা ত্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। সামুদ্রিক মাছ থেকে যে ফ্যাট পাওয়া যায় তার নাম ‘পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট’। বাদাম ও জলপাই তেলের মতো সামুদ্রিক মাছের ফ্যাটও ওজন হ্রাসে ভূমিকা রাখে।
মসলা: রসুন, হলুদ, দারুচিনি, আদা এগুলোর ব্যবহার বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানিতেও বর্তমানে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য পাচ্ছে। কারণ এই মসলায় শরীরের জন্য আয়ুর্বেদিক কিছু উপকারিতা রয়েছে। মসলা খাবারকে সহজপাচ্য করে এবং সঙ্গে সঙ্গে হজমেও সাহায্য করে। আদা, দারুচিনি ও হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পরোক্ষভাবে ওজন কমাতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে থাকে।
পানি: শরীর থেকে বর্জ্য বের করে দিতে পানির ভূমিকা অসাধারণ। বলা হয়, প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি ওজন হ্রাসে সরাসরি ভূমিকা রাখে। পানি শরীরকে সতেজ রাখে, অযথা ক্ষুধাভাবকে দূর করে। বারবার পানি পান করার ফলে শরীর চাঙাবোধ করে। মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়। তাই ওজন কমানোর অন্যতম আরেকটি জরুরি পদক্ষেপ পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া।
আঁশজাতীয় খাবার: আঁশজাতীয় খাবারে ভিটামিন-বি বেশি থাকে, যা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি আমাদের বেসাল মেটাবলিক রেট (বিএমআর) সচল রাখার মাধ্যমে শরীরকে তার খাবার পরিপূর্ণভাবে সদ্ব্যবহার করতে সাহায্য করে। শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমা রাখার প্রবণতা কমাতে আঁশজাতীয় খাবারের জুড়ি মেলা ভার।