ইদ্রিস আলম: শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় অবরোধ হওয়া বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
এর আগে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সকাল থেকে রাজধানীর ভিআইপি সড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। এতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কের উভয়পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ।
বিকেল ৪টার দিকে ডিএমপি অপারেশন জয়েন্ট কমিশনার মনির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ হুইসেল বাজিয়ে আন্দোলনকারীদের সড়ে যেতে আহ্বান জানায়। পরে শিক্ষার্থীরা সরে গেলে যান চলাচল নিয়ন্ত্রনে আসে।
এদিকে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিলে, সৃষ্টি হয় যানজট। সরেজমিনে দেখা গেছে, বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা শহীদ রমিজউদ্দিন কলেজের সামনের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যানবাহন চলাচল। এতে করে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে এয়ারপোর্ট-বনানী, এয়ারপোর্ট-মিরপুর, মিরপুর-রামপুরা রুট।
এছাড়া আবদুল্লাহপুর থেকে যাতায়াত করা বিভিন্ন রুটের বাস বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা থেকে ঘুরিয়ে দেয়া হয়। ফলে এ রুটে চলাচলকারীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
রোববার দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ১৫/২০ জন শিক্ষার্থীর উপর ওঠে যায় জাবালে নূর পরিবহনের একটি দ্রুতগতির বাস।ঘটনার সময় সেখানে জাবালে নূর পরিবহনের আরেকটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখেই দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় পেছন থেকে দ্রুতগতির ওই বাসটি দাঁড়িয়ে থাকা বাসটি ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। আর তখনই নিমিষে ওঠে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর। দুই বাসের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় মুর্হূতে প্রাণ যায় রমিজউদ্দিন কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী দিয়া আখতার মিম (১৭) ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবদুল করিমের (১৮)। এ ঘটনায় আরো বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
পথচারীরা সঙ্গে সঙ্গে হতাহতদের কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে গুরুতর আহত কয়েকজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। আহত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দুর্ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেলেও বাসের সুপারভাইজারকে মারধর করে আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।