আসলামউজ্জামান, ইতালী: বাংলাদেশের সড়ক নিরাপদ করতে মন্ত্রীপরিষদে পরিবহন আইন অনুমোদন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ইতালি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল।
তিনি বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় বন্ধুকে হারানোর ফলে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে এসেছে। দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের শিশুরা রাস্তায় নেমে এসেছে। যেহেতু ছোট ছোট বাচ্চারা এমনকি আমার মন্ত্রী, মিনিস্টার, এমপি তাদের যে যা বলছে, তারা কিন্তু তা মেনে নিচ্ছে। ওদের বাধা দেইনি। কারণ তাদের অনুভূতি, সেন্টিমেন্ট আমরা বুঝতে পারি।
এ রকম একজন সহপাঠী মারা গেলে তাদের যে কষ্ট আর কেউ বুঝতে না পারুক আমাদের থেকে বেশি কেউ বুঝবে না। কারণ আমরা তো আমাদের জাতির পিতাকে হারিয়েছি।’ আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে গেছে বলে দাবি করেন ।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন যেটা দেখতে পাচ্ছি তা আরও ভয়াবহ। আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ চলে এসেছে। সেখানে গাউসিয়া মার্কেট থেকে স্কুল ইউনিফর্ম বিক্রি হয়ে গেছে হঠাৎ করে। পলাশী থেকে আইডি কার্ড তৈরি করা হচ্ছে। ওগুলো কারা নিচ্ছে? এরা কি আদৌ ছাত্র? কখনো মুখে কাপড় বেঁধে, হেলমেট পরে চেহারা ঢেকে ঢুকে পড়ছে। আমি এখন শঙ্কিত স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে।’ বর্তমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রসঙ্গে ইতালি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল বলেন, একটা শ্রেণি আছে যাদের কাজ হলো ঘোলাপানিতে মাছ ধরা। যারা চেষ্টা করছে এমন একটা পরিস্থিতিতে তারা কোনো একটা অবস্থান তৈরি করতে পারে কি না। কালকে তারা ফেসবুকে রিউমার (গুজব) দিল। আওয়ামী লীগের অফিসে চারজনের লাশ রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা হলো, কারা এ হামলা করল।
এ অবস্থায় সম্পাদক গুজব ও অপপ্রচারে কান না দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘একদল লোক অপপ্রচার চালিয়ে দেশের পরিস্থিতিকে জটিল করে তোলার চেষ্টা করছে। দয়া করে আপনারা কোনো ধরনের গুজবে কান দেবেন না। কোনো মিথ্যা প্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না।’