লিবিয়ার নৌ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, শুক্রবার ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাবার পথে রাজধানী ত্রিপোলির পূর্ব উপকূলে শতাধিক অভিবাসীকে বহনকারী নৌকাটি ডুবে যায়। লিবিয়ার উপকূলীয় রক্ষীরা ইতিমধ্যে জীবিত ১৬ তরুণকে উদ্ধার করেছে।
ঘটনার সত্যতা শিকার করে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মুখপাত্র ক্রিস্টিন পিটার জানান, লিবিয়ার উপকূলে নৌযান ডুবির ঘটনায় ১০০ বা তার বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে।
আইওএমের মুখপাত্র ক্রিস্টিন পিটার সিএনএনকে বলেন, পাঁচ বছরের কম বয়সী তিন শিশুর মৃতদেহ আমরা উদ্ধার করেছি। তবে কতজন নিখোঁজ আছে বা মারা গেছে, আমরা তা জানি না।
উদ্ধারকৃতদের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম এএফপি জানায়, বিস্ফোরণের পর নৌকার ইঞ্জিনে আগুন ধরে গেলে এটি সাগরে ডুবে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এএফপি আরো জানায়, দুর্ঘটনার সময় ৮ মিটার লম্বা নৌকাটিতে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী ছিলো। তবে এতে ঠিক কতজন যাত্রী ছিল তার সঠিক হিসাব জানা যায়নি। অনুমান, শিশু ও ১৫ জন নারীসহ নৌকাটিতে শতাধিক যাত্রী ছিল।
উন্নত জীবনের আশায় ইতালি হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমানোর জন্য লিবিয়া অভিবাসীদের কাছে লিবিয়া একটি জনপ্রিয় রুট। তবে নৌকা করে বেপরোয়াভাবে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রচুর মানুষ মারা যায়। গতবছর সাগরে ডুবে মারা গেছে ১ লাখ ২০ হাজার অভিবাসী।
এছাড়া জুন মাসের গোড়ার দিকে তিউনেসিয়া উপকূলে অভিবাসীদের বহসকালী একটি নৌকাডুবির ঘটনায় ১২০ জন মারা গেছে। এর আগে ফ্রেব্রুয়ারিতে লিবিয়ার পশ্চিম উপকূলে প্রাণ হারিয়েছে আরো ৯০ জন।
সূত্র: আল জাজিরা