আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার কখন হবে, সাইজ কী হবে, আকারে কতটা ছোট হবে, ক্যাবিনেটে কতজন থাকবে তা একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া এ বিষয়ে আর কেউ জানেন না। আমি পার্টির সাধারণ সম্পাদক, আমিও এখন পর্যন্ত জানি না।’
বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রাজশাহী মহানগর ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। আগামী ২০ দিনের মধ্যে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের এমন বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, ‘২৭ ডিসেম্বর নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ। এটা নিশ্চিত হলেও তা বলার দায়িত্ব আমাদের না। এটা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনকে বিব্রত করা আমাদের কাজ না। নির্বাচন কমিশনই বলবে কবে নির্বাচন হবে। এটা বলার দায়িত্ব সরকার কিংবা সরকারের কোনও মন্ত্রীর নয়, কিংবা দলেরও কোনও নেতারও না। তাই আমাদের যার যার এরিয়ার মধ্যে সীমিত থেকে রেসপনসিবল ভূমিকায় থাকলে দেশ, গণতন্ত্র ও সরকারের জন্য ভালো।’
জাতীয় ঐক্যে আওয়ামী লীগকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালে যাবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের ঐক্যে বিশ্বাসী। জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন হলে আমরা ডাক দেবো। এখন আমরা জনগণের ঐক্য চাই।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতা গণতন্ত্রের বিষয়। নির্বাচন মানেই হলো প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা, সেটা হবেই। আমরা এটাকে ওয়েলকাম জানাই। আমরা যে একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনে যাচ্ছি এমন তো নয়। ঐক্যও হতে পারে। নির্বাচন আসলে জোট হবেই। আওয়ামী লীগও জোট করে, অন্যান্য দলও জোট করে। বিএনপিরও জোট আছে। আমাদের ১৪ দলীয় জোট আছে, জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমাদের জোট হয়েছে, সরকারে আমরা একসঙ্গে আছি। সেই মহাজোটের সরকারই তো বর্তমানে বাস্তবে দেশ চালাচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ। তাই এ বড় দলের সমর্থক ও ভোটারেদের বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য হাস্যকর। আওয়ামী লীগ ছাড়া ১৪ দল আছে। এ দলগুলোকে বাদ দিয়ে যেটা হবে তা হলো সাম্প্রদায়িক ঐক্য। জাতীয় ঐক্যের নামে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ হচ্ছে। আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য হয় নাকি? জাতীয় ঐক্য এ শব্দদয় ব্যবহার না করাই ভালো।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অনিয়ম, কারচুপি একমাত্র বিএনপির পক্ষে শোভাপায়। আওয়ামী লীগের ইতিহাসে অনিয়ম, জালিয়াতি নাই। নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতায় গেছে বিএনপি।’