বিবিসির খবরে বলা হয়, চার বছর আগে নিখোঁজ ওই বিমানের খোঁজে মালয়েশিয়া ও চীনের যৌথ অভিযানে ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল থেকে ২৩০০ কিলোমিটার দূরে জাহাজ দুটির ধ্বংসাবাশেষ পাওয়া যায়। তবে এতদিন তা প্রকাশ করা হয়নি।
সমুদ্র বিশেষজ্ঞদের একটি দল বৃহস্পতিবার (৩ মে) জাহাজ দুটি শনাক্ত করার সম্ভাব্য আলামতগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে।
জাহাজের ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করতে অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র গবেষকরা সোনারের মাধ্যমে নেওয়া জাহাজের ছবি এবং জাহাজ চলাচলের পুরনো তথ্য ব্যবহার করেছেন।
এর মধ্য দিয়ে উনিশ শতকে হারিয়ে যাওয়া দুটি কয়লাবহনকারী জাহাজের ‘লাপাত্তা’ হওয়ার রহস্য উন্মোচনের কাছাকাছি পৌঁছানো গেছে বলে গবেষকরা দাবি করছেন।
অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেইফটি ব্যুরোর (এটিএসবি) অনুরোধে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া মিউজিয়াম আন্তর্জাতিক দুই জাহাজ থেকে পাওয়া সোনার ও ভিডিও ডেটাগুলো বিশ্লেষণ করেন। আর এই কাজে নেতৃত্ব দেন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া মিউজিয়ামের মেরিটাইম আর্কিওলজির কিউরেটর রস অ্যান্ডারসন।
রস অ্যান্ডারসন বলেন, অনুসন্ধানে পাওয়া লোহার জাহাজটির সাথে ২৮ জন নাবিক নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে ভারত যাওয়ার পথে ১৮৮৩ সালে ‘হারিয়ে’ যাওয়া দ্য ওয়েস্ট রিজের সবচেয়ে বেশি মিল রয়েছে।