সুন্দর,উঁচু ও ভরাট বক্ষের অধিকারী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন প্রায় সব নারীই। নারীরা তাদের শরীরকে আরো আকর্ষণীয় দেখাতে যে বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিনিয়ত এর আকার,রং,ডিজাইন সব কিছুই বদলে যাচ্ছে। স্তনযুগলকে স্বাস্থ্যসম্মত ও শেপে রাখতে উপযুক্ত বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করা উচিৎ। অন্তর্বাস বলে কখনই যেন অবহেলা করে কম দামের বা অপরিচ্ছন্ন বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করবেন না।পছন্দের দিক দিয়ে ভিন্নতা থাকলেও বিশ্বের প্রায় প্রতিটি নারী বক্ষবন্ধনী নির্বাচনে সময় বেশ কিছু ভুল করেন। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক বক্ষবন্ধনী নির্বাচনে ১০টি সাধারণ ভুল…
অনলাইনে অফার দেখে বক্ষবন্ধনী কেনা অনেকটা বাজার থেকে সস্তা দামে কেনার মতোই বোঝায়। সস্তা বক্ষবন্ধনী ও ভালোমানের বক্ষবন্ধনীর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। মানসম্পন্ন বক্ষবন্ধনীগুলো পরতে যেমন আরামদায়ক, তেমনি ধোঁয়ার পরেও এর গুণগত মান আগের মতোই থাকে। তবে সস্তা বক্ষবন্ধনীগুলো এক ধোঁয়াতেই মলিন হয়ে যায়।
নারীরা তাদের স্বাস্থ্য অনুযায়ী নির্দিষ্ট সাইজের বক্ষবন্ধনী নির্বাচনে সব থেকে বেশি ভুল করেন। শরীরের বক্ষবন্ধনী যদি ঠিকমতো না বসে তাহলে বুঝতে হবে আপনার নির্বাচনে ত্রুটি আছে। প্রত্যেক নারীর শরীরে ওজন বেড়ে যাওয়া, ওজন হ্রাস পাওয়া, গর্ভাবস্থা ও হরমোজনিত কারণে বেশ পরিবর্তন দেখা দেয়। তাই বক্ষবন্ধনীর সাইজে পরিবর্তন আসাটাই স্বাভাবিক। তাই সব সময় বক্ষবন্ধনী নির্বাচনে সতর্ক থাকা দরকার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেক নারী মনে করেন, একটি বক্ষবন্ধনী টানা দুদিন পড়ে থাকলে তা প্রসারিত হবে। ধারণাটি আসলেই ভুল। ইলাস্টিকের স্ফীত হওয়াতে শরীরের তেমন কোন পরিবর্তন আসবে না। তবে এটি খুবই অস্বাস্থ্যকর শরীরের জন্য।
অনেকেই বক্ষবন্ধনী ওয়াশিং মেশিনে পরিষ্কার করেন। তবে বক্ষবন্ধনী হাতে ধোঁয়া সব থেকে নিরাপদ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে যদি একান্তই ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করতে হয়, তবে একটি ব্যাগে বক্ষবন্ধনী রেখে তারপর তা ধোঁয়া যেতে পারে।
অনেকেই হয়তো জানেন না, বাজারের বক্ষবন্ধনীর ব্র্যান্ডের সঙ্গে এর সাইজেও পরিবর্তন হয়। তাই আজ এক ব্র্যান্ডের পড়লেন এবং আগামী দিন একই সাইজের তবে অন্য ব্র্যান্ডের বক্ষবন্ধনী কিনে আনলেন তা ঠিক নয়।
একটি বক্ষবন্ধনীর সময়সীমা ৬ থেকে ৯ মাস। তবে অনেকেই যদি বক্ষবন্ধনী টানা একবছর পড়েন তাহলে তা আসলেই সীমার বাইরে চলে যায়। বক্ষবন্ধনী অকেজো হওয়ার আগে হুক ভেঙ্গে যায় এমনকি ফোমের তার বাঁকা হয়ে যায়।
বক্ষবন্ধনী আলাদা করে সংরক্ষণ করুন। কাপড় যেভাবে যত্নসহকারে রাখা হয় ঠিক তেমন করেই বক্ষবন্ধনী সংরক্ষণেও যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। অনেকেই ব্যবহারের পর বক্ষবন্ধনী হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখেন। অনেকেই আবার কাপড়ের সঙ্গে রেখে দেন। এতে ফোমের বক্ষবন্ধনীর সাইজে পরিবর্তন আসাটা স্বাভাবিক। তাই বক্ষবন্ধনী সংরক্ষণে আলাদা ড্রয়ার ব্যবহার করা একান্ত জরুরি।
অনেকেই মনে করেন, সাদা রঙের বক্ষবন্ধনী যেকোন কাপড়ের নিচে পরা সম্ভব। বেশিরভাগ নারী অন্যান্য রঙের তুলনায় সাদা রঙের বক্ষবন্ধনী নির্বাচনকেই বেশি প্রাধান্য দেন। গবেষণায় দেখা গেছে, বক্ষবন্ধনীর রঙের পরিবর্তনের সঙ্গে মেজাজেও পরিবর্তন ঘটে। লাল রঙের বক্ষবন্ধনী মন-মেজাজ ভালো রাখে বলে এক গবেষণায় পাওয়া গেছে। তাই কেবল এক রঙের কাপড় ব্যবহার না করে বিভিন্ন রঙের বক্ষবন্ধনী পরিধানের চেষ্টা করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেকেই লুজ ফিটিং বক্ষবন্ধনী পড়তে পছন্দ করেন। তবে ঢিলেঢালা কাপড় শরীরের জন্য আরামদায়ক হলেও বক্ষবন্ধনী লুজ পড়া ঠিক নয়। এতে ত্বকে ব্যথা অনুভূত হয়। এমনকি স্তনের আকৃতিতেও পরিবর্তন দেখা দেয়। তাই সময় থাকতেই বক্ষবন্ধনী টাইট করে নিন।
একই ধরনের বক্ষবন্ধনী পড়তে অভ্যস্ত অনেকেই। নিয়মিত একই ধরনের বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। বাজারে ভিন্ন ভিন্ন আউটফিটের বক্ষবন্ধনী পাওয়া যায়। চাইলেই পছন্দের ড্রেসের সঙ্গে মিলিয়ে ট্রাই করতে পারেন।