তরিকুল ইসলাম জেন্টু, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: আদমদীঘিতে একই পরিবারের তিন বোন থ্যালাসিমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে। অসুস্থ তিন মেয়েকে বাঁচাতে অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে দরিদ্র পিতামাতা হিমশিম খাচ্ছেন। তারা দেশের প্রধানমন্ত্রীসহ সমাজের বিত্তবানদের নিকট সাহায্যের আহবান জানিয়েছেন। উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে সামান্য সহযোগীতা পেলেও আরও অর্থের অভাবে তিন মেয়ের পর্যাপ্ত রক্তদানসহ সু-চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়না।
আদমদীঘির চাঁপাপুর বাজারের বাইসাইকেল মেকার গোলাম মোস্তফার সংসারে স্ত্রী ও তিন মেয়ের মধ্যে ১ম মেয়ে তানিয়া সুলতানা বিথী দুপচাঁচিয়া মহিলা কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের বিএ ক্লাশের ছাত্রী, ২য় মেয়ে নাদিয়া সুলতানা দিথী চাঁপাপুর জালাল উদ্দিন আহমেদ কলেজের ২ম বর্ষে ও ৩য় মেয়ে সামিয়া সুলতানা চৈতি কাঞ্চনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়াশুনা করে। তিন মেয়েই ছোট বেলা থেকে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসকের শরনাপন্ন হন।
চিকিৎসক জানায়, গোলাম মোস্তফা এবং তার স্ত্রীর শরীরে রক্তের একই গ্রুপ ‘ও’ পজেটিভ হওয়ার কারনে তার তিন মেয়েই থ্যালাসিমিয়া ও রক্তশূণ্যতা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকের পরামর্শে প্রতি মাসেই তিন মেয়ের শরীরে রক্ত দিতে হয়। দরিদ্র গোলাম মোস্তফা তার সহায় সম্বল বিক্রি ও বিভিন্ন ভাবে দেনা করে এ পর্যন্ত মেয়েদের শরীরে প্রতিমাসে রক্ত কিনে দিয়ে কোন রকরমে বেঁচে রেখেছেন।
ভোক্তভোগি গোলাম মোস্তফা বিয়ের আগে প্রতিটি ছেলে ও মেয়ের রক্ত পরীক্ষা করে নেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, থ্যালাসিমিয়ায় আক্রান্ত দুই মেয়েকে চাকুরির ব্যবস্থা করে দেয়া হলে চিকিৎসা করানো অনেকটা সহজ হতো। বর্তমানে থ্যালাসিমিয়া ও রক্তশূণ্যতা রোগে আক্রান্ত তিন মেয়ের হতভাগ্য পিতা মেয়েদের বাঁচাতে আর্থিক সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং সমাজের বিত্তবানদের নিকট আকুল আবেদন জানান।
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক চাঁপাপুর শাখা সঞ্চয়ী হিসাবনং ৩৪৯১-এ সাহায্য পাঠানো এবং ০১৭৩৭-২১১৬১২ ও ০৭৭২-৮৯৭০৫৭ নম্বর মোবাইলে জানানোর জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।