জার্মানবাংলা২৪ ডটকম: ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। বুধবার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে অবস্থিত ঢাকার ১ নম্বর অস্থায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে আসামিদের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুরনো ঢাকার বকশী বাজারের অস্থায়ী আদালতে নিয়ে আসা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসামিদের আদালতে তোলা হয়েছে। এরপর রায় পড়া শুরু করেন বিচারক।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় সন্ত্রাসীরা ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নির্মমভাবে নিহত হন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রানে বেঁচে যান। আহত হন শতাধিত নেতাকর্মী। এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় পৃথক ৩টি এজাহার দায়ের করেন।
মামলার প্রথম চার্জশিটের সাবেক উপ-মন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ২২ আসামির বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ২৯ অক্টোবর চার্জগঠন করে ট্রাইব্যুনাল। পরবর্তীতে অধিকতর তদন্তে তারেক রহমানসহ ৩০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। যাদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ১৮ মার্চ চার্জগঠন করা হয়। গত বছরের ৩০ মে মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়। গত ১২ জুন মামলাটিতে জামিনে ও কারাগারে থাকা ৩১ আসামির আত্মপক্ষ শুনানি শুরু হয়, যা গত ১১ জুলাই শেষ হয়। আত্মপক্ষ শুনানিতে জামিনে ও কারাগারে থাকা ৩১ আসামির সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এরপর শুরু হয় সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ। কারাগারে থাকা ২৩ আসামির মধ্যে ২০ জন আসামি সাফাই সাক্ষ্য প্রদান করেন। গত বছর ১১ অক্টোবর মামলা দুইটিতে আসামি পক্ষের সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়। এরপরই ২৩ অক্টোবর থেকে যুক্তিতর্ক শুরু হয়। গত ১৮ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে ১০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করা হয়।