একেএম বাবু,তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোরে এক অসহায় ভিক্ষুক নারীকে মাঠের মধ্যে একলা পেয়ে সে ধর্ষনের খবর জার্মান বাংলা২৪ এ প্রকাশের পর ঘটনার ১৩ দিনের মাথায় আলোচিত ধর্ষক জালাল উদ্দিন ও বিচারক মেম্বার রুস্তমকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে তানোর থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে (২১ অক্টোবর) সোমবার, মধ্য রাতে তালন্দ ইউপির আড়াদিঘি গ্রামে।সরেজমিন ভুক্তভোগী এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে গ্রামের প্রতিবন্ধি মোস্তফার স্ত্রী (কবুতর বানু) (৪০) প্রতিদিনের ন্যায় গোল্লাপাড়া বাজার হতে ভিক্ষা করে বাড়ি ফেরার পথে, মাঠের মধ্যে একলা পেয়ে জালাল উদ্দিন (৪৫) প্রথমে হাত ধরে জোর করে তাকে ধর্ষন করেছে। সে খবর জার্মান বাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম সহ বিভিন্ন অনলাইন ও কাগজে প্রকাশের পর তানোর থানার চৌকস পুলিশ মধ্য রাতে ধর্ষক জালাল উদ্দিন ও মেম্বারকে আটক করেছে। প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে ধর্ষক এলাকার মধ্যে অর্থে শালিতে তার প্রভাব রয়েছে সে কারনে তালন্দ ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার রুস্তম আলী সে সুযোগটা কাজে লাগিয়ে বড় ধরনের আর্থিক সুবিধা নিয়ে তথাকথিত এক অফিস কক্ষে ভুক্তভোগীকে যা তা বুঝিয়ে, হুমকি দামকি দিয়ে, মামলা না করার সত্যে কাগজে সই করিয়ে প্রহসনের বিচার করা হয়েছে। তাছাড়া বৈঠকে পনের হাজার টাকা জরিপনা করে ধর্ষক জালাল উদ্দিনকে ধর্ষনের অভিযোগ থেকে, কথাকথিত বিচারকেরা ধর্ষককে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নির্যাতিত ধর্ষিতা নারী কবুতর বানু জার্মান বাংলা টোয়েন্টিফোর কে বলেন, ধর্ষক জালাল একই গ্রামের ব্যক্তি হওয়ায় তার সাথে টাকা পয়সা লেন দেনও আছে।তিনি বলেন মেম্বার রুস্তম আমাকে অনেক টাকা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেছে, জমি দেওয়ার কথা বলে থানার মোড়ের ঘরে নিয়ে ধমক দিয়ে ফাঁকা কাগজে সই করে নিয়েছে। এদিকে ধর্ষিতার শাশুড়ী ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তিনি বলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তানোর গোদাগাড়ীর সাংসদ আলহাজ ওমর ফারুক চৌধুরী আমাকে মা বলে ডাকেন বইলো সে আমার পরিবারের মান সন্মান রক্ষা করবে, তাছাড়া রাজশাহীর জেলা প্রশাসক হামিদুল হক, এসপি শহিদুল্লাহ মহোদয় সহ প্রশাসনের উচ্চ মহলের কাছে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবী করেন। অপরদিকে ধর্ষিতার বিষয়ে এক প্রতিবেশি ব্যক্তিরা জানিয়েছে ঘটনাটি সত্য সঠিক বিচার হলে আমরা অনেক খুশি হবো।তাই এদের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে জামিন না দিয়ে বিচার কাজ শেষ করে শাস্তির দাবী করেছে। তানোর থানার ওসি খায়রুল ইসলামের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন তদন্তের স্বার্থে আসামীদের নাম বলা যাবেনা ,দুইজনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন এসব কথা বলে।