সকল ভেদাভেদ ভুলে ঈদ আনন্দে হৃদয় ছোঁয়েছে জার্মান প্রবাসী বাঙালিদের মাঝে। উৎসবমুখর পরিবেশে জার্মানির বিভিন্ন শহরে বসবাসকারী সকল বাঙালি প্রবাসীরা ঈদ পালন করেন। ঠিক তেমনি ড্রেসডেন-এ অবস্থানরত সকল বাংলাদেশীরাও মেতে উঠে ছিল উচ্ছ্বাসিত ঈদ আনন্দে।
বাচ্চাদের বিস্কুট দৌড়
শহরের প্রাণকেন্দ্র গ্রোসারগার্টেন-এর মঞ্চে গত ১৬ জুন দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ ঈদ উৎসব অনুষ্ঠান চলে। আয়োজক কমিটির সদস্যরা পুরো অনুষ্ঠানকে তিনভাবে করেন।
ভাবিদের হাড়িভাঙ্গা
শ্রেষ্ঠ জুটি বাছাই
যেহেতু সারাবিশ্ব এখন ফুটবল জোয়ারে ভাসছে। তাই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্যায়ে ছিল বিবাহিত ও অবিবাহিতদের মধ্যে দৃষ্টি-নন্দন ফুটবল খেলা। এতে কোনো দলই জয়সূচক গোল করতে না পারায় খেলার ফলাফল গোলশূন্য ড্র হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ছিল বাঙালি বাহারি খাবারের রসনা-বিলাস। বাঙালি ঐতিহ্যবাহী খাবারের সুন্দর পরিবেশনা ও আপ্যায়ন সবাইকে দেশীয় ঈদ উৎসবের আমেজ এনে দেয়। এরপর অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন থেকে তেলোয়াত করে শিশু নাহিয়ান।
‘রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ সমবেত কণ্ঠে এই গান দিয়েই মনীষা ও তরীর উপস্থাপনায় শুরু হয় ঈদ উৎসব-এর আকর্ষণীয় তৃতীয় এবং শেষ পর্ব। সবার মাঝে হাস্যরসের মাধ্যমে সুকুমার রায়-এর ‘খিচুড়ি’ কবিতা আবৃতি করে শুনান মোহাম্মদ জিয়ান।
অনুষ্ঠানের আরও আকর্ষণ ছিল শ্রেষ্ঠ জুটি বাছাই, বাচ্চাদের বিস্কুট দৌড়, অবিবাহিতদের প্রেমাভিনয়, ভাবিদের হাড়িভাঙ্গা। সর্বশেষে বিজয়ীদের মাঝে আকর্ষণীয় পুরস্কার বিতরণ।
সকলের সার্বিক সহযোগিতায় এই মনোজ্ঞ ও স্মৃতিবহুল অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিলেন মোহাম্মদ জিয়ান, সৈয়দ ইয়ামিন হোসেন, আবান সোহেল, হিমালয় হাবিব এবং সানিরুজ্জামান শুভ। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সকল অতিথিদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সৈয়দ ইয়ামিন হোসেন।