ওই গ্রুপটি নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে একটি চিঠি দিয়ে ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এ খবর টেলিগ্রাফ অনলাইনের।
উত্তর কোরিয়ার সংকট সমাধান চেষ্টায় ভূমিকা রাখায় তারা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই পুরস্কারের যোগ্য দাবিদার বলে মনে করছেন। তাদের মতে, তিনি নাকি শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। ইন্ডিয়ানার রিপাবলিকান সিনেটর লিউক মেসারের নেতৃত্বে বুধবার নরওয়ের নোবেল কমিটির কাছে চিঠিটি পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, কয়েক দশক থেকে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চলা যুদ্ধে ইতি টেনেছেন ট্রাম্প। এ ছাড়া পিয়ংইয়ংয়ের একনায়ক কিমের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারে লাগাম পরিয়েছেন তিনি। এই ঐতিহাসিক অবদান ও বিশ্বে শান্তি স্থাপন করার জন্য ২০১৯ সালের নোবেল পুরস্কারের প্রবল দাবিদার ট্রাম্প।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শেষ নাগাদ বা আগামী মাসের গোড়ার দিকে কিমের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প। বৈঠকের আগেই পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া সরকার।
তবে এবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিদার একা ট্রাম্প নন। এখন পর্যন্ত এ পুরস্কারের জন্য নোবেল কমিটির কাছে ৩৩০ জনের নাম জমা পড়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ নোবেল জয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
ট্রম্পের আগে একাধিক মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ পুরস্কার বগলদাবা করেছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার এবং বিভিন্ন জাতির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে অসাধারণ প্রয়াসের কারণে ২০০৯ সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ডেমোক্রেট দলের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র কয়েক মাস তিনি এই সম্মানজনক পুরস্কার লাভ করেন। তার পূর্বসূরী জিমি কার্টার, উড্রো উইলসন ও থিওডোর রুজভেল্টও নোবেল পেয়েছিলেন।