রামিম হাসান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের সদর উপজেলায় প্রীতি ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র কাশিমপুর গ্রামে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাজারে গত শনিবার থেকে দেড় শতাধিক ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান তগ তিন ধরে বন্ধ রয়েছে। দুই গ্রামবাসি মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, গত শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের কাশিমপুর ও পাশের গ্রাম মধুহাটি ইউনিয়নের হাজিডাঙ্গার ভিতর এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। খেলাটি কাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক ববিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্টিত হয়। খেলায় শেষের দিকে গোলের অফসাইডের পক্ষে এবং বিপক্ষের কথাকাটাকাটি একপর্যায়ে কিল-ঘুষিসহ উভয় দলের খোলোয়াড় মাঠের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় । এতে দর্শকরা আতঙ্কে দৌড়ে নিরাপদে সরে যায়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় অমিমাংসিত ভাবে খেলা শেষ হয়। কিন্তু পরে হাজিডাঙ্গা গ্রামের কিছু চিহ্নিত ব্যাক্তি পাশে জিয়া নগর বাজারে কাশিমপুর গ্রামের রুবেল হোসেন ও শাকিল অহমেদ নামের দুই জনকে বেধড়ক পিটাতে থাকে। সে সময় বাজারের কয়েক জন তাদের থামাতে গেলে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে কাশিমপুরের দোকানের মালিকদের দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর থেকেই দেড় শতাধিক ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দুই গ্রামবাসি যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করছে সচেতন এলাকাবাসি।
এবিষয়ে দোকান মালিক সমাতির সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, বাজারের শতকরা ৯৭/৯৮ ভাগ দোকান মালিক কাশিমপুর গ্রামবাসির। অথচ হাজিডাঙ্গা গ্রামের কিছু চিহ্নাত ব্যাক্তি যাদের কোন ব্যবসা নেই। তারা ছোট খাটো বিষয় নিয়ে ব্যবসায়িদের লাঞ্ছিত, মারধোর করেন। প্রীতি ফুটবল খ্লোকে কেন্দ্র করে তারা গ্রামের লোকজনদের মারধর করে। তাদের নিকট গ্রামের লোকজন জিম্মি হয়ে পড়েছে। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ থাকবে বলে তিনি জানান।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলাম জানান, কেউই আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারবে না। আবার আইনের উর্দ্ধেও কেউ না। এ ব্যাপরে প্রশাসন অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।
এব্যাপরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক শেখ জানান, আমি এখনই খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।