ঝিনাইদহ থেকে রামিম হাসান: নির্মাণের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি ঝিনাইদহে ওরাল স্যালাইন ফ্যাক্টরী। এতে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ তেমনি অযত্ন আর অবহেলায় ঝোপঝাড় আর আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে ওরাল স্যালাইন ফ্যাক্টরীটি । নষ্ট হয়ে হচ্ছে নির্মাণাধীন ভবনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন অফিস জানা যায়, শহরের মদনমোহনপাড়ায় নির্মাণ করা হয় ওরাল স্যালাইন ফ্যাক্টরী। ঝিনাইদহ অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে স্যালাইনের চাহিদা পূরণে ৯৮ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা ব্যায়ে ২০১২ সালে এটির কাজ শুরু হয়। ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে ফ্যাক্টরীটির উদ্বোধন করেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, চালু না হওয়ায় ফ্যাক্টরীটি যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি রাতে বখাটেদের ও নেশাখোরদের আড্ডা স্থানে পরিণত হয়েছে এলাকাটি। তাই অতিদ্রুতই যেন প্রতিষ্ঠানটি চালুর ব্যবস্থা করা হয়।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর সভাপতি আবু তাহের জানান, পানি শূন্যতাপূরণ কিংবা ডায়রিয়া রোগে নিতান্তই প্রয়োজন ওরাল স্যালাইন। ভিতরে বিদ্যুতের তার, ফ্যান লাইটের ব্যবস্থা থাকলেও বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে সেগুলোও নষ্ট হতে চলেছে। এমন অবস্থায় পড়ে থাকলেও ফ্যাক্টরীটি চালু করতে নেই স্বাস্থ্য বিভাগের কোন উদ্যোগ । জনস্বাস্থ্যের কথা ভেবেই যদি ফ্যাক্টরীটি তৈরি হয় তাহলে কেন চালু হচ্ছে না।
কথা হয় রহমান মণ্ডলের সাথে। তিনি জানান, সেই শুরু থেকেই অযত্ন, অবহেলায় পড়ে আছে স্যালাইন ফ্যাক্টরী। ভবনের চারপাশে ভরে গেছে ঝোপ-ঝাড়ে, ভেতর ও বিভিন্ন কক্ষে সৃষ্টি হয়েছে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। ভেঙে যাচ্ছে দরজা-জানালা। আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ঝিনাইদহ জেলা সিভিল সার্জন ডা. রাশেদা সুলতানা জানান, লোকবলের অভাবে প্রতিষ্ঠানটি চালু করা যাচ্ছে না। যদি সরকার পদ সৃজন করে লোকবল নিয়োগ দেয় তাহলে দ্রুতই প্রতিষ্ঠানটি চালু করা সম্ভব হবে।