একেএম বাবু,রাজশাহী প্রতিনিধি:রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে আওয়ামীলীগ, মহিলা লীগ সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ কামারুজ্জামানের কবর জিয়ারত করেন।এদিকে এ গুরুত্বপূর্ণ দিনটিকে সামনে রেখে যথাযথ মর্যাদায় পালনের লক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে রবিবার সকালে নগরীর রেলগেট কামারুজ্জামান চত্বরে জাতীয় চার নেতার জীবনী নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে এএইচএম কামারুজ্জামানের ভাগনে জেলা আওয়ামীলীগের সফল সভাপতি আলহাজ ওমর ফারুক চৌধুরী এমপির নেতৃত্বে দশ হাজার নেতা কর্মীরা দোয়া মাহফিলে উপস্থিত হয়েছে।দোয়া মাহফিলে আরো যারা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী মর্জিনা খাতুন, জেলা যুব মহিলালীগ সভানেত্রী সেলী আক্তার, সাধারন সম্পাদক বিপাশা,তানোর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম,গোদাগাড়ী উপজেলার সাধারন সম্পাদক আব্দুর রশিদ, তানোর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, কাকন হাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল মজিদ, গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস, বাগমারা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু, জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক ছাত্র লীগ নেতা কামারুজ্জামান চঞ্চল,শরিফ খাঁন, রিশিকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম টুলু,গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান সহ বিভিন্ন উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নেতা কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী সোনিয়া সরদার, সাধারন সম্পাদক সানোয়ারা খাতুন, কলমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম স্বপন, কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মসলেম উদ্দিন,কামারগাঁ ইউপি সভাপতি ফজলে রাব্বি ফরহাদ,গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সফিকুল সরকার সহ বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা কালো পতাকা ও কালো ব্যাচ ধারন করে রালিতে উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে এক সাক্ষাৎকারে তানোর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না মন্তব্য করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জন নেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার আদর্শ বুকে ধারন করে ২০টি বছর ধরে যে নেতা তিলে তিলে রাজশাহীকে নিয়ে ভেবেছেন।আবার বিএনপির দূর্গকে ভেঙ্গে আওয়ামীলীগের দূর্গে পরিনিত করেছেন জাতীয় নেতা শহীদ কামারুজ্জামানের ভাগনে আলহাজ ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি সেই দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন? ঠিক তখন তথাকথিত মিথ্যাবাদী সেই নেতা, জেলা আওয়ামীলীগকে দু ভাগে বিভক্ত করেছে তাই আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অপরদিকে গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম টুলু এক সাক্ষাৎকারে দৈনিক জাতীয় অর্থনীতিকে বলেন জেলার তথাকথিত সেই মিথ্যাবাদি নেতার আসল বাড়ী চাপাঁইনবাব গঞ্জে,তিনি কি করে জেলা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সফল সভাপতি জননেতা আলহাজ ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি মহোদয়কে রাজাকারের ছেলে বলতে পারে? সেই তথাকথিত নেতা যে ধরনের মিথ্যাচার করছে তার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন? আর ভিত্তিহীন মানহানিকর বক্তব্য কারীর বিরুদ্ধে জরুরী সাংগঠনিক ভাবে শাস্তির দাবী তুলেছেন গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম টুলু।