জার্মানবাংলা২৪ ডেস্ক: বহুজাতিক কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনকে চার কোটি ৭০ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩৯ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা) ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ২২ জন নারী ও তাদের পরিবারের অভিযোগ পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির ট্যালকম পাউডারের কারণে ওভারিয়ান ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ার অভিযোগ করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি আদালতের বিচারকরা ২২ জন নারী ও তাদের পরিবারকে এ ক্ষতিপূরণ দিতে জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির প্রতি নির্দেশ দেন।
ওই ২২ জন নারী জনসন কোম্পানির বেবি ও বডি পণ্যে ক্যানসারের ঝুঁকির অভিযোগ তোলেন। তারা বলেন, কোম্পানিটি এ বিষয়ে সতকর্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
মিসৌরি আদালতের বিচারকরা নারীদের ক্ষতির জন্য শাস্তি হিসেবে ৩৪ হাজার ৮০৭ কোটি টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও নারীদের ক্ষতিপূরণের জন্য জরিমানা করেন আরও ৪ হাজার ৬শ ২৪ কোটি টাকা।
এদিকে, এই রায়কে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করে আপিলের পরিকল্পনা করছে জনসন কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগকারী এক নারীর আইনজীবী মার্ক লেনিয়ার বলেছেন, আদালতের বিচারের ছয় সপ্তাহ পর সেন্ট লুইসের বিচারক ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিপূরণের জরিমানা ৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু শাস্তি হিসেবে জরিমানা ৪৫ মিনিটের মধ্যে পরিশোধ করার কথা।
এ আইনজীবী আরও বলেন, জনসন অ্যান্ড জনসন ৪০ বছর ধরে ট্যালকম জাতীয় পণ্যের ব্যবসা করছে। তাদের পণ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকির সতকর্তা উল্লেখ করা উচিত ছিল।
তিনি বলেন, আদালত কক্ষে তাদের স্বজনরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিল। এটা খুব আবেগঘন দৃশ্য।
তবে জনসন অ্যান্ড জনসন তাদের এক বিবৃতিতে তাদের পণ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।