জার্মান-বাংলা ডেস্ক: স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত তথা জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তিই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন।
আজ সংসদ সচিবালয়ে সফররত চীনের পিপল’স পলিটিক্যাল কন্সালটেটিভ কনফারেন্স (সিপিপিসিসি) এর ১৩তম জাতীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান উয়াং জেং ওয়াইয়ের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তার সাথে সাক্ষাত করলে তিনি এ কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, এ লক্ষ্য নিয়ে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য জাতির পিতা দীর্ঘ চব্বিশ বছর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধুর অবিচল নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীনতা লাভের পরপরই ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু জাতিকে উপহার দেন এক অনন্য সংবিধান, যে সংবিধানে চারটি মূল স্তম্ভ গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র।
সাক্ষাতকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, সংবিধান, সংসদীয় চর্চা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করেন। এছাড়া তাঁরা দু’দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
স্পিকার চীনের প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, চীন বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং উন্নয়ন অংশীদার। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক বিদ্যমান। এ সম্পর্ককে আরো বৃদ্ধি করে দু’দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
উয়াং জেং ওয়াই রপ্তানি, বাণিজ্যসহ সকল প্রকার বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধির অশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীনের অব্যাহত সহযোগিতারও আশ্বাস দেন।
তিনি বাংলাদেশে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পে চীনের বিনিয়োগের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি সেতুতে রেল সংযোগে বাংলাদেশের সাথে চীনের অর্থসহায়তা চুক্তির উল্লেখ করেন। এছাড়া আজ সম্পাদিত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাথে চীনের সাংহাই ও সেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জের অংশীদারিত্ব চুক্তি ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে অবদান রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় সিপিপিসিসি’র সদস্য (মন্ত্রী মর্যাদা) কিউ ইয়ানপিং, চেন ফং, উপ-পরিচালক (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) ইয়াং জিয়াওবো, সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুর রব হাওলাদার এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং ঝু উপস্থিত ছিলেন।