জার্মানির ফ্রাংফুর্ট শহরে দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত বসবাসকারী সিলেট বিভাগের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সাবেক বিশিষ্ট ক্রীড়ামোদি নজরুল ইসলাম খালেদ ও শিফা ইসলামের চর্তুথ সন্তান সোয়াদ ইসলাম (৮)। ক্রীড়া পরিবারের সন্তান সোয়াদ ইসলাম মাত্র ৬ বছর বয়স থেকেই ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ করে। বর্তমানে সোয়াদ ফুটবল খেলাধুলার পাশাপাশি এবং পড়াশোনায় অদম্য সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলে। ফুটবল খেলাধুলায় সোয়াদের অসামান্য সাফল্যে জার্মানিতে ব্যাপক সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে। খুদে এই ফুটবলার জনপ্রিয় ফুটবল আর্জেন্টিনার সমর্থক।
খেলার মাঠে অপ্রতিরুদ্ধ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বিস্ময়কর খুদে ফুটবলার সোয়াদ ইসলাম
সোয়াদ ইসলাম শুরু থকেই সে T.S.G. Niederrad Frankfurt ক্লাবের হয়ে খেলাধুলা করে আসছে। প্রতিবারের মত এবারেও জার্মানির কাইসার্স্লাউটর্ন (Kaiserslautern)-এ সম্প্রতি আয়োজন করা হয় প্রতীকী অনূর্ধ্ব ৯ ফুটবল
খেলাধুলায় অর্জিত সাফল্যের প্রাপ্তিগুলো দেখছে খুদে ফুটবলার সোয়াদ ইসলাম
বিশ্বকাপ। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়–য়া প্রতিভাবান সোয়াদ দেশটিতে আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক হিসেবে অংশগ্রহণ করে। ৮ বছর বয়সী সোয়াদ ফাইনাল ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ১টি গোলসহ পুরো টুর্নামেন্টে ৩টি গোল করে দলকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জয়লাভের সুযোগ করে দেয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচে আর্জেন্টিনা ৪-০ গোলে রাশিয়াকে পরাজিত করে। সোয়াদ ইসলামের অসাধারণ সাফল্য প্রবাসীদের বিস্মিত ও প্রফুল্লিত করেছে।
গর্বিত বাবা নজরুল ইসলাম খালেদ-এর সঙ্গে সোয়াদ ইসলাম
সোয়াদের এই সাফল্যে আনন্দিত বাংলাদেশী কমিউনিটির সবাই। এই কৃতি ফুটবলার দেশ-বিদেশের সকল বাংলাদেশীদের খেলাধুলায় আগ্রহী ও অনুপ্রাণিত করে তুলবে বলে বিশ্বাস করেন জার্মান প্রবাসী বাঙালিরা।
এদিকে খুদে এই ফুটবলার শুধু খেলাধুলায় নয়, পড়ালেখায় ও রেখে চলেছে সাফল্যের সাক্ষর। তার পিতা নজরুল ইসলাম খালেদ নিজেও একজন সাবেক ফুটবলার। তিনি বৃহত্তর সিলেট সমিতি, জার্মানির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। ক্রীড়ামোদি এই বাংলাদেশীর তিন সন্তানের একজন ফুটবল, একজন টেবিল টেনিস, সাঁতারসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সাথে জড়িত।