হাসান শাহরিয়া রিপন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন আয়োজিত জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সভাপত্বিতে ‘ক্লিন সাতক্ষীরা গ্রিন সাতক্ষীরা বাস্তবায়নের ধারাবাহিক প্রোগ্রামের অংশ হিসাবে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আকাশলীনা ইতো ট্যুরিজম সেন্টারে মধুতে ভেজাল মিশানো বন্ধ করা এবং সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ না ধরার বিষয়ে উপকুলবাসীসহ জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালদের অংশগ্রহণে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মতবিনিময় সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদ হাসান খানের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য স ম জগলুল হায়দার এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশিউর রহমান ও শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল আরও বলেন, সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে। এটা একটা পবিত্র জায়গা। যেখান থেকে মানুষের রিযিক আসে, সেটা অবশ্যই পবিত্র। এখানে মাছ আছে, মধু আছে, বাঘ আছে, হরিণ আছে। হাজারো প্রাণ বৈচিত্র্যের সমাহার সুন্দরবন। আর আছেন আপনারা। আপনারা আছেন বলেই এই অঞ্চল মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ।
এসময় প্রধান অতিথী মহোদয় উপকূলের মতবিনিময় সভায় উপস্থিত মানুষদের সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগ করবো না, মধুতে ভেজাল দেব না, সুন্দরবনের বৈচিত্র্য সংরক্ষণ করবো, ক্লিন সাতক্ষীরা গ্রিন সাতক্ষীরা বাস্তবায়নে অংশ নেব’ উচ্চারণ করে সুন্দরবনকে বাঁচানোর শপথ গ্রহণ করান।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাদের নিয়েই ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ গঠন করতে চান।
তিনি বলেন, কিছু অসাধু মৎস্য শিকারী বিষ দিয়ে মৎস্য শিকার করে। তাদের চিহ্নিত করে প্রশাসনের কাছে সোপর্দ করুন। জিবিকা নির্বাহর নামে যারা সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মৎস্য সম্পদ ধ্বংস করছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সুন্দরবন আমাদের গর্ব, জীবন জীবিকার উৎস। এটা কাউকে ধ্বংস করতে দেওয়া হবে না।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মধুতে ভেজাল দিয়ে যারা সুন্দরবনের মধুর সুনাম নষ্ট করছে তাদের ধরিয়ে দিন উল্লেখ করে এই অঞ্চলকে ইকোট্যুরিজম এলাকা ঘোষণা করা হবে। বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা ঘোষণা করা হবে। এতে আপনাদের সন্তানরা এখানেই তাদের কর্মসংস্থান করতে পারবে।
এ সময় সভাপতি জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল তার ০১৭১৫২১২২৭৭ নাম্বারটি সকলকে দিয়ে দুর্নীতির বিষয়ে তথ্য দেওয়া আহবান জানান।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, এসি ল্যান্ড অফিস, ইউএনও অফিস ও ডিসি অফিস- যেখানেই দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হবেন, আমাকে জানাবেন। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সভায় শ্যামনগর থানা ও বনবিভাগের কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।