অভ্যাস ও জীবনযাত্রা পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নিজে নিজেই ক্যানসারের প্রাথমিক প্রতিরোধ সম্ভব। এ জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের প্রয়োজন নেই।
ক্যানসার নিয়ন্ত্রণের পূর্বশর্ত: সমন্বিত ও উত্তম ব্যবস্থায় উপাত্ত সংগ্রহ (ক্যানসার রেজিস্ট্রি, আশু ক্যানসার নির্ণয় কর্মসূচি, অংশগ্রহণকারী কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার মাধ্যমে জনসাধারণ ও চিকিৎসকদের সচেতন করে তোলা)।
আশু ক্যানসার নির্ণয় কর্মসূচি পরিচালনা করতে হবে দুভাবে। ক্যানসারের চিহ্ন ও লক্ষণগুলো সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করা এবং জনগণের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা দরকার। পুরুষ ও পঁয়ত্রিশোর্ধ নারীর নিয়মিত বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা প্রয়োজন। এর মধ্যে এক্স-রে, অ্যান্ডোস্কোপি, প্যাপ স্মেয়ার পরীক্ষা করতে হতে পারে। নিজে নিজেই স্তন পরীক্ষার মাধ্যমে স্তন ক্যানসার নিরাময়ের সম্ভাবনা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
ক্যানসার প্রতিরোধের পন্থাগুলো: প্রধানত সবজি ও ফল খেতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন না। স্বল্প ওজন বা অতিরিক্ত ওজন পরিহার করুন। পেশাগত কাজকর্ম যদি এমন হয় যে, তেমন নড়াচড়া করার প্রয়োজন পড়ে না, তা হলে প্রতিদিন ১ ঘণ্টা দ্রুতগতিতে হাঁটুন বা এমন কোনো ধরনের ব্যায়াম করুন, যাতে শরীর থেকে পানি বের হয়। প্রতিদিন ছোট বাটির পাঁচ বাটি পরিমাণ সবজি ও ফলমূল খান। প্রতিদিন ছোট বাটির সাত বা তার বেশি পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের দানা শস্য, শিমজাতীয় খাবার খান। মদ্যপান সম্পূর্ণভাবে পরিহার করুন। মাংস খেলে লাল মাংস দৈনিক তিন আউন্সেরও কম খাবেন। লাল মাংসের বদলে মুরগির মাংস বা মাছ খাওয়া সবচেয়ে ভালো। চর্বিজাতীয় খাদ্য গ্রহণ সীমিত রাখুন। উপযুক্ত পরিমাণে ভেজিটেবল তেল ব্যবহার করুন। লবণাক্ত খাবার, রান্নার লবণ, খাবার সময় লবণ ব্যবহার সীমিত করুন। ছত্রাকযুক্ত খাবার খাবেন না কোনোভাবেই। পচনশীল খাদ্য সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজ ব্যবহার করতে পারেন। কোনো ধরনের পোড়া খাবার খাবেন না। ধূমপান ও তামাক পাতা চুষবেন না এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে নিদ্রা ও বিশ্রাম করবেন। শিল্প-কারখানার ক্যানসারবাহক উপাদান ও তেজস্ক্রিয়তার ক্ষতিকর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।
লেখক : সাবেক পরিচালক ও অধ্যাপক, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট
ও হাসপাতাল, মহাখালী, ঢাকা
চেম্বার : রিলায়েন্স মেডিক্যালস সার্ভিসেস, ৫৩ মহাখালী, ঢাকা
০১৯৮৯১৫৪২৪৮, ০১৮৩৫৯৬৮৫৮৯