জার্মানবাংলা২৪ ডটকম: কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার নিন্দা জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন তিনি।
বিবৃতিতে এই হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। হামলাকারীদের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে কোটা সংস্কার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে গেজেট প্রকাশ এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও আচরণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার জন্যও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যৌক্তিক দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর এই হামলা অত্যন্ত অমানবিক, নিন্দাজনক, বেআইনি এবং সংবিধানপ্রদত্ত নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘যৌক্তিক দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রদানের পরিবর্তে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। তারা একটি নিয়মতান্ত্রিক ও অহিংস আন্দোলনকে দমনের অপচেষ্টায় ইন্ধন দিচ্ছে, যা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক এবং অসাংবিধানিক।’
‘হামলার সাথে জড়িতদের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তার দৃশ্যমান নিষ্ক্রিয়তা পরিহার করে নিরপেক্ষতা ও পরিপূর্ণ পেশাদারিত্বের সাথে আন্দোলনকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।’
কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি নিয়ে ‘স্বতঃস্ফুর্ত’ এই আন্দোলনকে প্রাথমিক পর্যায়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করা হলেও কিছুদিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণার মাধ্যমে এর ‘যৌক্তিকতা ও বৈধতা’ দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন ড. জামান।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও সরকারের তরফ থেকে কোনো প্রকার সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। ফলে সরকারের একাংশের আন্তরিকতা নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর দ্রুত সিদ্ধান্তগ্রহণ ও বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রয়োজন হতো না বলে মনে করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।