জার্মান-বাংলা টুয়েন্টিফোর ডটকম: প্রতিনিয়ত নদীতে বিভিন্ন শিল্প কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য পড়ে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র মিঠা পানির মৎস্যপ্রজনন ক্ষেত্র হালদার পানি বিষাক্ত হয়ে উঠছে। এই দূষিত পানিতে ভেসে উঠছে মরা রুই, কাতলা, মৃগেলসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ। চারপাশে ছড়াচ্ছে কটূ গন্ধ।
স্থানীয়রা জানান, গত ১২ থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত টানা বর্ষণে উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী, রাউজান ও ফটিকছড়ি উপজেলার অধিকাংশ এলাকা পানিতে ডুবে যায়। হালদা নদীও এই তিন উপজেলায়। ফলে বন্যার সময় খাল, বিল, ডোবা ও পুকুরের পানি একাকার হয়ে যায়। পরে দূষিত হয়ে এসব পানি আবার গিয়ে পড়ে হালদা নদীতে। এরপর থেকে মরা মাছ ভেসে উঠতে দেখছেন স্থানীয়রা।
মধ্যম মাদার্শা এলাকার বাসিন্দা এনোয়েতুল্লাহ বলেন, ‘এ বছর অকস্মাৎ ঢলে হাটহাজারীর বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। নদীর পানিতে সাদা ফেনা বের হচ্ছে। পানি পচে কারখানার বর্জের সঙ্গে মিশে টেংরা, পুঁটি, মলা, রুই, বোয়ালসহ বিভিন্ন মাছ মরে ভেসে উঠেছে।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরিরর সমন্বয়ক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘প্রতিনিয়ত নদীতে বিভিন্ন শিল্প কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য পড়ছে। এরমধ্যে এক সপ্তাহ আগে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানির স্রোতে মুরগির খামারের বিষাক্ত বর্জ্য, শিল্প বর্জ্যসহ নানা পচাগলা পদার্থ পানি দূষণ করেছে। এ কারণে মাছ মারা যাচ্ছে। বিশেষ করে চিংড়ি মাছ প্রয়োজনীয় মাত্রার অক্সিজেন ছাড়া থাকতেই পারে না। তাই এই মাছই বেশি মারা যাচ্ছে।’