আরিফুজ্জামান আরিফ, বেনাপোল: ঈদের পাঁচদিনের ছুটিতে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) দিনভর বেনাপোল বন্দর এলাকা ঘুরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাড়তি নজরদারি চোখে পড়েছে।
বন্দরের অভ্যন্তরে রাখা কোটি কোটি টাকার আমদানিকৃত মালামাল চুরিরোধ ও কেউ যাতে নাশকতার কোনো ঘটনা না ঘটাতে পারে সেজন্য ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার কাজ করে যাচ্ছে বন্দরের নিয়োগকৃত বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা পিমা, আনসার ব্যাটালিয়ন ও পুলিশ।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (২০ আগস্ট) ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর রাত পর্যন্ত মালামাল লোড-আনলোড হয়েছে। এরপর বন্দরের শেডগুলো সিল করে দেয়া হয়েছে।
বন্দরের কার্যক্রম আবার শুরু হবে রোববার (২৬ আগস্ট) থেকে। বন্দরের অভ্যন্তরে ও বন্দরের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পালাক্রমে বন্দর পাহারা দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে স্থলপথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ সম্পাদন হয় এ বন্দর দিয়ে। বন্দরটিতে সব সময় প্রায় দেড় লাখ মেট্রিক টন আমদানি পণ্য মজুদ থাকে। যার বাজারমূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকা। ছুটির মধ্যে সাধারণত দেখা যায়, নাশকতা বা দুর্ঘটনামূলক কর্মকাণ্ড বন্দরে ঘটে। এজন্য বেশি নজরদারি রাখা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের নিরাপত্তা সংস্থা আনসার ব্যাটালিয়নের কমান্ডার বদিউজ্জামান বলেন, বন্দরে কয়েকশ আমদানিকারকের কোটি কোটি টাকার পণ্য রয়েছে। টানা ছুটিতে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ। এ সময় কেউ যাতে সেখানে প্রবেশ করে পণ্যের ক্ষতি কিংবা কোনো রকম নাশকতামূলক ঘটনা না ঘটাতে পারে এজন্য নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। একই কথা বলেন বন্দরের বেসরকারি সিকিউরিটি সংস্থা পিমার কমান্ডার শহিদুল ইসলাম।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, টানা ছুটিতে বেনাপোল স্থলবন্দরে বাড়তি নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে আনসার ব্যাটালিয়ন ও বেসরকারি সিকিউরিটি সংস্থা পিমাকে সতর্ক রাখা হয়েছে। দিনের পাশাপাশি রাতেও কাজ করছে পুলিশের টহলদল।
বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বলেন, ছুটিতে যাতে বন্দরে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সমস্ত নিরাপত্তা সংস্থাকে অন্য সময়ের চেয়ে আরও বেশি নজরদারি রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।