এম এ আহমেদ আরমান, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:”আমি কিছুই জানি না সবই জানেন সভাপতি সাহেব” এমন কথা বললেন হাটহাজারী পৌরসদরস্থ জামেয়া অদুদিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মীর আবুল বশর সিদ্দিকী।
গত শনিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কার্যালেয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন অনিয়ম,দুর্নীতি, সেচ্চাসারিতা,শিক্ষক নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন এবং তিনি সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চান আর কোন কাগজপত্র দেখাতে পারবেন না। সভাপতি সাহেবের নিষেধ আছে তাই দেখানো ও বলা যাবে না। গভর্নিং বডির কোন অনুমোদন আছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন এখনও কমিটির অনুমোদন আসেনি। বছর পেরিয়ে গেলেও আসেনি কমিটির কোন অনুমোদন। এ থেকে বুঝা যায় তিনি নামমাত্র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আসল অধ্যক্ষ সভাপতি!
চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার “জামেয়া অদুদিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার” অনিয়মের কোষাগার হিসেবে পরিণত হয়েছে যা বিভিন্ন প্রতিবেদনে প্রতীয়মান। তার সত্যতা ও নিজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে তদন্ত প্রতিবেদনের সম্পর্কে দীর্ঘ গড়িমসির কারণ ও বিভিন্ন অনিয়মের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল বশর সিদ্দিকী। তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে সভাপতি সাহেব সব জানেন বলে। নিজের দাবী মতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে কমিটির অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এখনও অনুমোদন আসেনি। এরপরও সবই সভাপতি সাহেব জানেন আমি কিছুই জানি না। এরপর আবার যখন (অধ্যক্ষ) কাছের কত বার বিদেশে গেছেন জানতে চাইলে তিনি ৮ বার বিদেশে যাওয়ার কথা বলে। এমন কথার পরে যখন রশিদ বই নিয়ে বিদেশ চাদা তোলার নিয়ম আছে কিনা তখন তিনি বলেন এটা অবৈধ। তাহলেই আপনি(অধ্যক্ষ) কিভাবে টাকা তোললেন?সেই টাকা কোথায় দেয়া হল? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি হাত জোর করে ক্ষমা চান। এরপর তিনি তাড়াহুড়া করে অফিস থেকে বের হয়ে যান। এ থেকে দেখা যায় তিনি নামে অধ্যক্ষ আসল অধ্যক্ষ হলেন সভাপতি!! অথচ এক বছরেরও বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ারপর কোন অনুমোদন আসেনি কমিটির কিন্তু সকল কাজে কলকাটি নাড়ছেন অনুমোদনবিহীন কমিটির সভাপতি!
মাদরাসার একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, ভাই কি বলব সব অনিয়ম,দুর্নীতিতে ভরে গেছে এ মাদরাসাটি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আর সভাপতি মিলে লাখ লাখ টাকা লুটপাট করছেন। তারা দুইজনের কাজ হল কেউ প্রতিবাদ করলেই মামলা আর বহিস্কার করে। এ ভয়ে কেউ কোন প্রতিবাদ করে না। তারা কোন আইন কানুন মানেন না। মনে করে মাদরাসাটি তাদের নিজস্ব সম্পত্তি। তারা এমন কি উপজেলা প্রশাসন নয়,কোর্ট এবং মন্ত্রাণালয়ের আদেশ পর্যন্ত মানে না? সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়ম আর দুর্নীতির কত নিউজ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় আছে। আর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের আগে কিছুই ছিল না। এখন তিনি হাটহাজারী পৌরসদরস্থ আলিফ হসপিটালের পেছনে আলিশান বহুতল বিল্ডিং করেছেন। চিন্তা করে দেখেন কি পরিমাণে দুর্নীতি করেছেন?
এরপর মাদরাসা পরিচালনার কমিটির(অধ্যক্ষের তথ্য মতে) সভাপতি সৈয়দ আহমদ হোসেনর সাথে ৬/৭ বার মোবাইল ফোনে কল করে পাওয়া যায়নি।