বেসরকারি সব ব্যাংকের পাশাপাশি রূপালী ও অগ্রণী ব্যাংকও সম্প্রতি সুদহার বাড়িয়েছে। অথচ এক বছর আগেও আমানতকারীদের নিরুৎসাহিত করছিল কিছু ব্যাংক। আর এখন অধিকাংশ ব্যাংকই আমানত সংগ্রহের লক্ষ্য বেঁধে দিয়ে কর্মকর্তাদের মাঠে নামিয়েছে।
২০১২ সালে আমানতের ওপর সুদ ছিল সাড়ে ১২ থেকে ১৪ শতাংশ। ২০১৩ সালে আমানতের গড় সুদহার নেমে আসে ৮ দশমিক ৬১ শতাংশে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলোর আমানতের গড় সুদহার কমে হয় ৫ দশমিক ২২ শতাংশ। তবে এখন বেশির ভাগ ব্যাংক ৯ থেকে ১৩ শতাংশ সুদে মেয়াদি আমানত নিচ্ছে।
সুদহার বাড়ায় আমানতকারীরা এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে ছুটছেন। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীরাও বড় অঙ্কের আমানত তুলে ফেলছে। ফারমার্স ব্যাংক থেকে জলবায়ু তহবিলের প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ফেরত না পাওয়ায় অনেকে আতঙ্কে বেসরকারি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ফেলছেন। অধিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের দিকেই ঝুঁকছে।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে ভালো অঙ্কের বিনিয়োগযোগ্য আমানত রয়েছে। ভালো প্রকল্প না মেলায় অর্থায়ন করা যাচ্ছে না।