স্পোর্টস ডেস্ক: আফগানিস্তানের কাছে প্রথম ম্যাচেই হোচট গেল বাংলাদেশ। গতকাল (৩ জুন) তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টির সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪৫ রান হারলো টাইগাররা আফগানদের দেয়া ১৬৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরের জবাবে খেলতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরে যান দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। আফগান বোলার মুজিবের অসাধারণ এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে ফিরে যান তামিম। তামিমের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। চতুর্থ ওভারে মোহাম্মদ নবীর বলে বল বাতাসে উড়িয়ে দিয়ে উইকেটকিপার শেহজাদের হাতে ধরা দিয়ে বিদায় নেন সাকিব।
দলীয় ২১ রানে তামিম-সাকিবের উইকেট হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরাতে চেষ্টা করেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। এই জুটিতে তারা ৪৩ রান যোগ করেন। সপ্তম ওভারে দলীয় রান তখন দুই উইকেটে ৬৪। এসময় বিশেষ করে লিটন দাশ উইকেটে সেট হয়ে গিয়েছিলেন। তার ব্যাট থেকে রানও আসছিল। কিন্তু মোহাম্মদ নবীকে অযথা শট খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন এ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। মাত্র ২০ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৩০ রান করেছিলেন লিটন।
প্রথম ১০ ওভারে ৮০ রান করার পর বিদায় নেন বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। রশিদ খানকে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হন মুশফিক (২০)। পরের বলেই সাব্বিরও রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন। রশিদ খানের গুগলিতে এলডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি।
দলের এমন কঠিন পরিস্থিতে হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। অষ্টম উইকেটে তারা উইকেটে ধরে খেললেও রান রেট তাড়া করে লড়াই চালিয়ে যেতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত এক ওভার বাকি থাকতেই ১২২ রানে অলআউট হয় টাইগাররা।
বাংলাদেশ দলের হয়ে মাহমুদউল্লাহ ও আবুল হাসান দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়া সাকিব, রুবেল ও আবু জায়েদ রাহী একটি করে উইকেট নেন।
রবিবার (৩ জুন) ভারতের দেরাদুনের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টটসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আট উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান সংগ্রহ করে আফগানরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ। এছাড়া ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সামউল্লাহ সেনোয়ারি। শেষ দিকে টর্নেডো ইনিংস উপহার দেন শফিকুল্লাহ। মাত্র ৮ বলে ২৪ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন আফগান এ তরুণ। এছাড়া উসমান গনি ২৬, অধিনায়ক আসগর স্টনিকজা ২৫ রান করেন।