জার্মানবাংলা২৪ ডটকম: দুর্নীতিবিরোধী অান্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিঅাই) গবেষণা করে বিদেশ বিনিয়োগ বেশি হয় এবং আমদানি বেশি করে এমন বড় ৩০টি দেশের সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৩,০১৬ জন কর্মকর্তার উপর জরিপ করে যে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচক প্রকাশ করেছে।
সূচকের হিসেবে, বিচারবিভাগের কার্যকারিতা, সম্পত্তির অধিকার নিরূপণে সরকারের ন্যায়পরায়ণতা, বাণিজ্য ও শ্রমের স্বাধীনতা–এসব বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান অপরিবর্তিতই বলা চলে।
যুক্তরাষ্ট্রের হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের করা ২০১৮ সালের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৮৷ আর দক্ষিণ ও দক্ষিণ এশিয়ার ৪৩টি দেশের মধ্যে ২৯তম৷ পেছনে ফেলেছে ভারত (৩০তম), পাকিস্তান (৩১তম), নেপাল (৩২তম) ও ভিয়েতনামকে (৩৫তম)৷
একটি দেশের বড় কোম্পানি অন্য দেশের রাস্তাঘাট, সেতুসহ সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন কাজ সম্পাদনের সুযোগ পেতে অনেকসময় ঘুষের সহায়তা নিয়ে থাকে৷ অর্থাৎ কাজের অর্ডার পেতে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে ঘুষ দিয়ে থাকে৷ দুর্নীতিবিরোধী অান্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিঅাই) এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছে৷
১৯৯৯ সালে টিআই প্রথমবারের মতো এই শীর্ষক একটি সূচক প্রকাশ করে৷ এরপর মোট পাঁচবার সূচক প্রকাশ করেছে সংস্থাটি৷ সর্বশেষটি করেছে ২০১১ সালে৷ সেই সময় ২৮টি দেশকে সূচকের আওতায় নিয়ে আসা হয়৷ এই দেশগুলো বিশ্বব্যাপী পণ্য, সেবা ও বিনিয়োগ লেনদেনের প্রায় ৮০ শতাংশের সঙ্গে জড়িত৷
রুশ কোম্পানিগুলো অন্যদেশের কন্ট্রাক্ট পেতে সবচেয়ে বেশি ঘুসের আশ্রয় নিয়েছে৷ এরপর আছে চীন৷ ২০১০ সালে এই দু’টি দেশের কোম্পানিগুলো নিজ দেশের বাইরে ১২০ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ বিনিয়োগ করেছে৷
ইউরোপের এই দেশের কোম্পানিগুলো অন্যদেশে কার্যাদেশ পেতে সবচেয়ে কম ঘুষের সহায়তা নিয়েছে৷ তারপর ক্রমান্বয়ে আছে সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম আর জার্মানি৷
সবচেয়ে বেশি ঘুষ দেয়া দেশের তালিকায় ভারত আছে নয় নম্বরে৷ এছাড়া ইন্দোনেশিয়া আছে চার আর সৌদি আরব সাত-এ৷
যেসব খাতে ঘুষ লেনদেন হয় এমন ১৯টি খাতেরও তালিকা করেছে টিআই৷ এতে দেখা যাচ্ছে, সরকারি কাজের চুক্তি পেতে সবচেয়ে বেশি ঘুষ লেনদেন হয়৷ এরপরেই আছে নির্মাণকাজ, সেবা, রিয়েল স্টেট, তেল, গ্যাস, মাইনিং ইত্যাদি৷
ঘুষের নেতিবাচক দিক
টিআই বলছে, বিদেশি কোম্পানিগুলোর ঘুষ দেয়ার বিষয়টি বিভিন্ন দেশের মানুষের ভালমন্দের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে৷ এতে করে কন্ট্রাক্ট দেয়ার বিষয়টি পক্ষপাতহীন হয় না, মৌলিক জনসেবার গুনগত মান কমে যায়, প্রতিযোগিতামূলক বেসরকারি খাত গড়ে ওঠার সুযোগ ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যায়৷